রবিবার

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করা আমাদের অঙ্গীকার: শিক্ষা উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১ অক্টোবর, ২০২৫ ১৬:৩৬

শেয়ার

মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করা আমাদের অঙ্গীকার: শিক্ষা উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী ও আধুনিক রূপে গড়ে তোলা অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার। তিনি বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় মাদ্রাসা শিক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী এখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখছেন। আমরা চাই এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী, বাস্তবমুখী ও আধুনিক রূপে গড়ে তুলতে।

বুধবার ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার ২৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ওয়াজির হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।

শিক্ষা উপদেষ্টা তার বক্তব্যে ১৭৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২৪৬ বছরের ইতিহাসকে গর্বের সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষার ঐতিহ্যে যুক্তিবিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা, বিজ্ঞানচর্চা ও ধর্মবিদ্যা একসাথে ছিল। আমরা চাই এই ধারাকে পুনরুজ্জীবিত করে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে ধর্মীয় শিক্ষার একটি সমন্বিত রূপ তৈরি করতে।

অধ্যাপক ড. সি আর আবরার আরও বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা অবশ্যই মাদ্রাসা শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দু থাকবে, তবে শিক্ষার্থীদের কর্মদক্ষতা বাড়াতে আধুনিক শিক্ষার উপাদানগুলো সংযোজন করতে হবে। এজন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একাধিক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।

বক্তব্যে তিনি শিক্ষক সংকট, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা, বিশুদ্ধ পানি ও পরিবহন সংকটসহ বিভিন্ন বিষয় দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ২৪৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসাকে আরও আধুনিক ও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে হবে। এটি শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জ্ঞানের ধারক।

তিনি তার বক্তব্যে সকল ধর্ম ও পেশার মানুষের প্রতি সম্মান ও মর্যাদার সাথে বসবাসের অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহিষ্ণুতার আহ্বান জানান।

তিনি ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, সমাজে বিভেদ নয়, সহমর্মিতা ও যুক্তিবাদী চিন্তাই আমাদের পথপ্রদর্শক হবে। ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে আলিঙ্গন করে আমরা উন্নত ও কর্মক্ষম নাগরিক হিসেবে দেশ ও সমাজে অবদান রাখতে পারব।



banner close
banner close