প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশাল একটা কাজ ভোটার তালিকা, তা বাড়ি বাড়ি গিয়ে শেষ করেছি। এ ছাড়া নারী ভোটার ব্যবধান কমিয়েছি এবং নয়টি আইন আমরা সংশোধন করছি।’
রবিবার বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধির সঙ্গে নির্বাচননি সংলাপে শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘আসন্ন ত্রয়োদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেক কাজ সম্পন্ন করেছি। তারমধ্যে বিশাল একটা কাজ ভোটার তালিকা, তা বাড়ি বাড়ি গিয়ে শেষ করেছি। নারী ভোটার ব্যবধান কমিয়েছি। নয়টি আইন আমরা সংশোধন করছি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা প্রস্তুতি নেয়ার অনেক কিছু এগিয়ে নিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কার কমিশনের আলোচনায় অনেক কিছু হয়েছে। আর যেটুকু গ্যাপ আছে তা সংলাপে অংশগ্রহণকারীরা আজ পূরণ করে দেবেন। আইটি সাপোর্ট পোস্টাল ব্যালট অনেক পরীক্ষা করার পরে আমরা তা হাতে নিয়েছি। আমরা এবার সবার ভোটের ব্যবস্থা করবো। যারা হাজতে আছে তাদের ভোটের ব্যবস্থা করবো। আমরা সুষ্ঠু সুন্দর ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
সংলাপে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির সিনিয়র সচিবসহ সংস্থাটির অন্য কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া সুশীল সমাজ ও বুদ্ধিজীবী প্রতিনিধিদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টার রাশেদা কে চৌধুরী, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আল মাহমুদ হাসানউজ্জামান, সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মো. মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক আব্দুল ওয়াজেদ, বিজিএমইএ পরিচালক রশিদ আহমেদ হোসাইনি, কবি মোহন রায়হান, পুলিশ রিফর্ম কমিশনের মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি জারিফ রহমান, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস ও টিআইবি পরিচালক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান।
অক্টোবরে রাজনৈতিক দল, সাংবাদিক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, পর্যবেক্ষক, নারীনেত্রী, জুলাই যোদ্ধাসহ সংশ্লিষ্ট অন্য সবার সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি।
আরও পড়ুন:








