কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আলোচিত ইউপি চেয়ারম্যান নইমুদ্দিন সেন্টু হত্যা মামলার আসামি ইমাদুল ইসলামকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর হাতিরঝিল থানার মধুবাগ এলাকার একটি বস্তিতে দীর্ঘ চার ঘন্টার সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কুষ্টিয়ার সিআইডি পুলিশ, কুষ্টিয়ার র্যাব ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি যৌথ বিশেষ অভিযানিক দল তাকে গ্রেপ্তার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবু তারেক এবং ইন্সপেক্টর (ওসি) মহব্বত আলী।
গ্রেপ্তার ইমাদুল দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের মরিচা গ্রামের কলেজপাড়া এলাকার আতর সরদারের ছেলে।
জানা গেছে, ৩০ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইউপি চেয়ারম্যান নইমুদ্দিন সেন্টুকে এলোপাতাড়ি গুলি করে প্রতিপক্ষের টুকু বাহিনীর লোকজন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়। এতে সেন্টু চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এ ঘটনায় ০১ অক্টোবর নিহত চেয়ারম্যানের ছেলে আহসান হাবীব কনক বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। এ মামলায় মোট ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় আরও ৮-১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
জানা গেছে, তীব্র গণ-আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ফিলিপনগর এলাকায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে টুকু বাহিনী। তরিকুল ইসলাম টুকুর নেতৃত্বে ওই অঞ্চলে হাটঘাট দখল, লুটপাট, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, অস্ত্র ব্যবসা, প্রতিপক্ষের লোকজনের ওপর হামলা, হুমকি-ধামকিসহ নানা অপরাধ শুরু হয়।
তাদের এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আসে ফিলিপনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নইমুদ্দিন সেন্টুর কাছে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ ও সতর্ক করেছিলেন তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইউপি চেয়ারম্যান সেন্টুকে গুলি করে হত্যা করে।
এদিকে নিহত নইমুদ্দিন সেন্টু ফিলিপনগর বাজারপাড়ার মুতালিব সরকারের ছেলে। তিনি অনেক আগে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। একসময় উপজেলা বিএনপির সহসভাপতিও ছিলেন। দুইবার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবু তারেক এবং ইন্সপেক্টর (ওসি) মহব্বত আলী জানান, ইউপি চেয়ারম্যান সেন্টুকে হত্যা মামলার আসামি ইমাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন:








