শুক্রবার মধ্যরাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে প্রবাসী অনুসন্ধানী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনকে নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন অ্যাকটিভিস্ট, লেখক ও ব্লগার পিনাকী ভট্টাচার্য।
পিনাকী ভট্টাচার্য তার পোস্টে লেখেন, ‘ইলিয়াসের নামে ডা জাহেদের স্ত্রী মামলা আবেদন দিয়েছে। এটা জাহেদের স্ত্রীর মামলা না আসলে জাহেদের মামলা। প্রশ্ন হচ্ছে, ইলিয়াসের কী দোষ এইখানে?’ অথচ এই মামলা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে আসল অপরাধী কে, আর ভিক্টিম কে?
সূত্র অনুযায়ী, ডা. জাহেদ সম্প্রতি তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইল ও ব্যক্তিগত হুমকির অভিযোগ তুলেছেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে, যিনি গেলো এক যুগ ধরে স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলেছে সেই ইলিয়াস হোসাইন এর বিরুদ্ধেই করা হয়েছে মামলার আবেদন।
সাধারণ মানুষের ভাষায়, ব্ল্যাকমেইল করবে একজন, আর মামলা হবে যে এটা প্রকাশ করলো তার নামে? এটা কী ধরনের বিচারের উদাহরণ?
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই এই মামলা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। একজন মন্তব্যকারী বলেন, ইলিয়াসের কী দোষ এখানে? মামলা তো হওয়া উচিত ব্ল্যাকমেইলকারী রুমিন ফারহানার নামে। এখানে তো মনে হচ্ছে, যিনি অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেন, তাকেই শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।
এমনকি কেউ কেউ স্পষ্ট হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন যে, এই মামলা যদি আমলে নেওয়া হয়, তাহলে কলে খবর আছে। ইলিয়াসের গায়ে হাত দিলে ছাড় দেয়া হবে না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মামলার মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠে এসেছে। যদি সত্যিই কোনো ব্যক্তি ব্ল্যাকমেইল করে থাকে, তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কিন্তু কোনো সত্য উন্মোচনকারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হলে তা ন্যায়বিচারের অপব্যবহার।
আরও পড়ুন:








