দেশে অন্তত তিনটি সুষ্ঠু নির্বাচন হলেও পরাজিতরা সেগুলো মেনে নেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ।
শনিবার রাজধানীর গুলশানে এক গোলটেবিল আলোচনায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
ড. আলী রীয়াজ বলেন, অন্তত ৩টি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে দেশে, কিন্তু পরাজিতরা সেটা মেনে নেননি। প্রতিষ্ঠান তৈরি না হওয়ায় দেশ গণতন্ত্রে রূপান্তর হয়নি।
তিনি আরও বলেন, পরিবর্তনের জন্য নির্বাচন প্রয়োজন কিন্তু সেটিই যথেষ্ট নয়।
অনুষ্ঠানে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমাদের ঐক্য আছে, কিন্তু তা বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা দরকার। ছাত্রদের ছাত্র আর শিক্ষকদের শিক্ষক থাকতে দিতে হবে। তাদের রাজনীতিবিদ হতে দেওয়া যাবে না। যার কাজ সে না করার উদাহরণ হচ্ছে জাকসু নির্বাচন। লেজুড়বৃত্তিক শিক্ষক ও ছাত্রদের দিয়ে রাজনীতি করার মাশুল দিতে হচ্ছে আমাদের।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের আকাঙ্ক্ষা ঠিকভাবে পূরণ করতে পারছে না।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী বলেন, সংস্কার বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে অনাস্থা, তা দূর করতে আইনি বাধ্যবাধকতা থাকতে হবে। দলগুলো নিজেদের কথা বলছে। কিন্তু, যে সন্ধিক্ষণ জনগণ ধারণ করছে, তাতে তারা জাতীয় ঐকমত্য চায়।
আরও পড়ুন:








