যশোরের চৌগাছায় গ্রেপ্তারের পর বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজিয়ে ছাত্রশিবিরের দুই নেতাকে গুলি করার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কনস্টেবল সাজ্জাদুর রহমানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার এ আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-এক। এদিন সাজ্জাদুরকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ।
পরে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। তিনি বলেন, ‘এ মামলায় মঙ্গলবারও একজনকে গ্রেপ্তার করে হাজির করা হয়েছে। তার নাম মো. আতিকুল ইসলাম। গ্রেপ্তার দুইজনই ওই সময় চৌগাছা থানায় কর্মরত ছিলেন। এর মধ্যে তৎকালীন ইন্সপেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন আতিকুল।’
প্রসিকিউটর তামিম বলেন, ‘২০২৬ সালে যশোরের চৌগাছা থানা এলাকায় মোটরসাইকেলে যাওয়ার পথে ইসলামী ছাত্রশিবিরের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেয়া হয়। এরপর ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে পরিচয় জানার পর তাদের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী দুইজনকে আদালতে হাজিরের কথা ছিলো। কিন্তু আগের দিন রাতে তাদের চোখ বেঁধে অন্য স্থানে নিয়ে দুই হাঁটুতে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করা হয়। তবে বন্দুকযুদ্ধে গুলি হয়েছে উল্লেখ করে আদালতে তোলা হয়। পরে শুনানি শেষে তাদের দুজনকে কারাগারে পাঠান আদালত। এ ছাড়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই শিবির নেতারই পা কেটে ফেলতে হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই ঘটনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে দেখছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। কারণ ওই সময় এ দুইজনকেই গুলি করা হয়নি। গোটা বাংলাদেশেই বিরোধী রাজনৈতিক মতাবলম্বীদের গ্রেপ্তারের পর কারো হাঁটুতে, কারো হাতে কিংবা শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি করে বিকলাঙ্গ করা হতো। এরই অংশ হিসেবে চৌগাছার ঘটনাটি ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।’
আরও পড়ুন:








