বুধবার

১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২ পৌষ, ১৪৩২

আইইএলটিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের প্রলোভন দিয়ে টাকা আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার দুই

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২১:৪৩

আপডেট: ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ২১:৪৪

শেয়ার

আইইএলটিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের প্রলোভন দিয়ে টাকা আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার দুই
ছবি: সংগৃহীত

আইইএলটিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র সরবরাহের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রবিবার রাতে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বনানী থানার ‘অ্যামাজন লিলি লেক ভিউ রেসিডেন্স’আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার হেফাজত হতে প্রতারণার মাধ্যমে আদায় করা নগদ ৮ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ও ৮টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পান্না পুনম হাওলাদার ওরফে কেয়া ও মো. মামুন খান।

তালেবুর রহমান বলেন, ‘ভিকটিম মো. নাদিত হাসান রকি কুইন গ্লোবাল কনসালট্যান্ট অ্যান্ড আইইএলটিএস প্রতিষ্ঠানে কোচিং করতো। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আসামিরা তার এবং অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আইইএলটিএস পরীক্ষায় পাস করার জন্য প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র সরবরাহের প্রস্তাব দেন। এই প্রলোভনে ভিকটিম আসামিদের কথায় বিশ্বাস করে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিতে সম্মত হন। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন- আসামিরা প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ১ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত গ্রহণ করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘গত ৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বনানী এলাকার ‘অ্যামাজন লিলি লেক ভিউ রেসিডেন্স’ নামক আবাসিক হোটেলে ভিকটিম হাসান রকি তার বন্ধু তাবিবুল ইসলামসহ অন্যান্য পরীক্ষার্থীরা টাকা প্রদান করেন। রাতে আসামিরা কয়েকটি প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র সরবরাহ করেন। কিন্তু পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে ভিকটিম দেখতে পান যে, আসামিদের দেওয়া উত্তরের সঙ্গে প্রশ্নপত্রের মাত্র কয়েকটি প্রশ্নের মিল রয়েছে। পরীক্ষা শেষে হোটেলে ফিরে টাকা ফেরত চাইলে আসামিরা তা অস্বীকার করেন এবং হুমকি দেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিবিড় তদন্ত ও প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে শনিবার রাতে বনানী থানার ‘অ্যামাজন লিলি লেক ভিউ রেসিডেন্স’আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।’



banner close
banner close