সোমবার

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১ পৌষ, ১৪৩২

মসজিদের আসবাবপত্র লুটের অভিযোগ কৃষকদল নেতার বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট, ২০২৫ ১২:৪৫

আপডেট: ২৮ আগস্ট, ২০২৫ ১২:৪৭

শেয়ার

মসজিদের আসবাবপত্র লুটের অভিযোগ কৃষকদল নেতার বিরুদ্ধে
ছবি: সংগৃহীত

রাস্তার পাশের লোভনীয় জমি আর এলাকায় রয়েছে পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী, এই দুয়ের হিসেব মেলাতে গিয়ে পরকালের কথা ভুলে গিয়েছে কিছু উচ্ছৃঙ্খল বিএনপি নেতাকর্মী। নিজেদের দখলে নিতে হামলা চালায় নির্মাণাধীন মসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্সে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কাটাসুর এলাকায় অবস্থিত আল-ঈমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নির্মাণ করা হচ্ছিলো মসজিদটি। ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, শ্রমিক ও কৃষকদলের স্থানীয় কিছু নেতাকর্মী ওই হামলার সঙ্গে জড়িত। এ সময় নির্মাণসামগ্রী লুট করাসহ শ্রমিকদের জিনিসপত্রও নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

বিষয়টি জানালো হলে, দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে হাজির হয় বাংলা এডিশন টিম৷ সরেজমিনে দেখা যায়, নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য নির্মিত ঘর এবং কমপ্লেক্সের চারপাশে দেয়া টিনের বেড়া ভেঙে ফেলা হয়েছে।

আল-ঈমান ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন মুফতী জসিমউদ্দীন রহমানী। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে খুনি হাসিনার রোষানলে পরে ২০০৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি উত্তরা পশ্চিম থানায় তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়। পরে ২০১৩ সালের ১২ আগস্ট বরগুনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। ব্লগার রাজীব হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন এই ইসলামিক চিন্তাবিদ।

দীর্ঘ ১১ বছরেরও বেশি সময় কারাভোগ শেষে গত বছরের ২৫ আগস্ট জামিনে মুক্তি পান তিনি। কারাগারে যাওয়ার আগে তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুর বসিলা এলাকায় মারকাযুল উলুম আল ইসলামিয়া নামে একটি মাদ্রাসা ও মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু ২০১৩ সালে ফ্যাসিস্ট হাসিনার চক্রান্তে তাকে গ্রেপ্তারের পর, প্রতিষ্ঠানটি দখলে নিয়ে র‌্যাব-২ কার্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের ভেতর নিয়ে যাওয়া হয়। ফলে ভেঙে যায় মুফতী জসিমউদ্দিনের দীর্ঘদিনের দ্বীনি শিক্ষা বিস্তারের স্বপ্ন।

মুক্তির পর পুরোনো জমি ফেরত না পেয়ে তিনি নতুন করে আল-ঈমান ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। মোহাম্মদপুরের কাটাসুর এলাকায় একটি অফিস ভাড়া নিয়ে শুরু করেন এর কার্যক্রম। এরপর আবারো বাধে বিপত্তি, নতুন বাংলাদেশে এসেও সন্ত্রাসী হামলার মুখে পড়ে মসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্সটি।

ভিডিও লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=t5Yt2XQd9C0



banner close
banner close