২০২৪ হাসিনার পাতানো সেই নির্বাচনকে নির্বিঘ্ন করতেই শেষ মুহুর্তে দেশজুড়ে পুলিশ-প্রশাসনে করা হয়েছে ব্যাপক রদ-বদল। তাতেও নিশ্চিত না হওয়ায় যাদেরই বিরোধীমত বা নিরপেক্ষ বলে মনে হয়েছে তাদেরই দেয়া হয় বাধ্যতামূলক অবসর। তেমনই একজন ভূক্তভোগী ড. নাজমুল করিম খান। বর্তমানে কর্মরত গাজিপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশানার হিসাবে। ১৫তম বিসিএস পুলিশের এই কর্মকর্তাকে ২০০৬ সালে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেয়া হয়নি আর কোন পদন্নতি। প্রায় ১৮ বছরে নিজ ব্যাচ ছাড়াও পরের ব্যাচের অনেকেই হয়ে গেছেন অতিরিক্ত আইজিপি।
দীর্ঘদিন ধরে চলা দুঃশাসন আর স্বৈরতন্ত্রের থাবা থেকে দেশের মানুষকে মুক্ত করার প্রত্যয় নিয়ে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে গুম-খুনের আতঙ্ক উপেক্ষা করেই, স্বপরিবারে রাজপথে নেমেছিলেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে নস্যাৎ করে পতিত সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে বাহিনীতে এখনো সক্রিয় আওয়ামী সুবিধাভোগীরা।’ তাদের আইনের আওতায় না আনা পর্যন্ত পুলিশে পুর্ণাঙ্গ সংস্কার সম্ভব নয় বলেও মনে করেন নাজমুল।
ছাত্র-জনতাকে হত্যা মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে চালানো অভিযান থেকে শুরু করে অপরাধ দমনে গত কয়েক মাস পুলিশের নেয়া ভূমিকার কথা উল্লেখ করে নাজমুল বলেন, আগের চেয়ে বর্তমানে গাজিপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটা ভালো। একইসাথে নানা সীমাবদ্ধতার কথাও স্বীকার করেন তিনি ।
সংকট কাটিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরো উন্নয়ন ঘটাতে স্থানীয় জনসাধারনের সাথে পুলিশের সরসারি সম্পৃক্ততা বাড়াতে মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করার পাশাপাশি বাহিনীর সদস্যদের মনোবল বাড়াতেও কাজ করছেন তিনি। আর, ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই বলে জানান এই কর্মকর্তা।
পুলিশের উর্দ্ধোতন এই কর্মকর্তার দাবি, দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে বৈষম্যের স্বীকার পুলিশ সদস্যদের কাজকে বাধাগ্রস্থ করতে উদ্যেশ্য প্রণোদিতভাবে কোন কোন মহল নানা অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এসব অপচেষ্টা সফল হলে ২৪-এর অভ্যুত্থান পরবর্তি নতুন বাংলাদেশে জনবান্ধব পুলিশের বদলে দেশে আবারও বিস্তার হবে ফ্যাসিস্ট শাসনামলের আধিপত্য।
ভিডিও লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=ZQf9Q0uYnz0&t=19s
আরও পড়ুন:








