জুলাই গণহত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলে আছে নাসির উদ্দিন সাথী। আর ছেলে তৌহিদ আফ্রিদি গত রবিবার গ্রেপ্তার হয়ে রয়েছে ৫ দিনের রিমান্ডে। তবে বাইরে থেকে নাসির উদ্দিন সাথীর ডান হাত এবং কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আলী আজগর টগরের ভাগিনা এস কে লিটন তাদের ছাড়াতে জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সাথে নাসির উদ্দিন সাথী ও তৌহিদ আফ্রিদির সমর্থনে জীবননগরে মিছিলসহ নানা নাশকতার পরিকল্পনা সাজাচ্ছে লিটন ও তার ডান হাত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মামলার আসামি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ কর্মী মিথুন মাহমুদ, এস কে লিটনের ভাই বকুল ও তার বাবা।
তাদের পরিকল্পনায় যুক্ত হয়ে অফলাইন ও অনলাইনে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে রায়পুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মিলন মেম্বারের ছেলে রকিবুল হাসান রবিন, বাঁকা ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও এস কে লিটনের রাজনৈতিক পিএস মাহমুদ হাসান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক খলিল মেম্বারের ছেলে নাবিল রহমান উল্লাস, উথলীর সালাউদ্দিন কাজল, ঢাকায় পলাতক মিনাজপুরের আব্দুল হাকিমসহ আরও কয়েকজন।
জানা গেছে, জীবননগরে দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া লিটনের বাবা আব্দুর রহমান ছিলো একজন দিনমজুর ও ভ্যান চালক। পরিবারের সম্বল বলতে ছিলো মাত্র ৫ কাঠা জমির ওপর পাটকাঠির তৈরি একটি ঘর। এ ছাড়া আর কিছুই ছিলো না তার বাবার। তবে মাইটিভিতে চাকরির বদৌলতে মাত্র দশ বছরেই শত শত কোটি টাকার মালিক বনে যায় মাই টিভির বিশেষ প্রতিবেদক ও মুখোশ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক এস কে লিটন। নাসির উদ্দিন সাথী ও তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদিকে বাঁচাতে লিটন এখন মরিয়া। নিয়মিত সহযোগিদের নিয়ে অনলাইনে মিটিংও করছে লিটন।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে সালাউদ্দিন কাজলের প্রভাবে অতিষ্ঠ ছিলো এলাকাবাসী। তাই ৫ আগস্ট তার বাড়ি ভাঙচুর করে ভুক্তভোগীরা। এরপর দুই মাস পলাতক থাকলেও সম্প্রতি এলাকায় ফিরে ভারতে পলাতক সাবেক এমপি আলী আজগর টগরের সাথে যোগাযোগ করছে। নিয়মিত সে ভারতে যাতায়াত করেছে বলেও জানা গেছে।
এদিকে টগরের ভাতিজা ও লিটনের ডান হাত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মামলার আসামি মিথুন ৫ আগস্টের পর পলাতক থাকলেও সম্প্রতি এলাকায় ফিরেছে।
মিথুনের বিষয়ে জীবননগর উপজেলা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা জানায়, ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই জীবননগর থানা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে তারা একটি মিছিল বের করার চেষ্টা করলে সে আন্দোলনকারীদের তালিকা পুলিশকে দেয়।
জানা গেছে, বাবার বসতভিটা ও জমি না থাকলেও এরই মধ্যে জমি কিনে জীবননগর শহরে বাড়ি ও ৫০ লাখ টাকার ব্যাংক-ব্যালেন্স গড়েছে মিথুন। এসব সম্পদ সে টগরের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় মাটি, বালু ও বিল দখলসহ বিভিন্ন সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। এ ছাড়া মিথুনের শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও জীবননগর শিশু নিকেতন স্কুলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। তবে স্কুলে জোরপূর্বক এক শিক্ষিকার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক করতে গিয়ে ধরা পড়ে। পরে মুচলেকা দিয়ে স্কুল থেকে চলে আসতে বাধ্য হয় মিথুন।
আরও পড়ুন:








