সোমবার

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১ পৌষ, ১৪৩২

তৌহিদ আফ্রিদি কিডনি রোগের কাগজপত্র জমা দিয়েছে, এগুলো বানানো যায়: রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট, ২০২৫ ২১:৪১

শেয়ার

তৌহিদ আফ্রিদি কিডনি রোগের কাগজপত্র জমা দিয়েছে, এগুলো বানানো যায়: রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী
ছবি সংগৃহীত

আদালতে তৌহিদ আফ্রিদি দাবি করেছে, তার কিডনির রোগ আছে। এসংক্রান্ত কিছু কাগজপত্রও জমা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নয়ন। তিনি বলেন, এখন সবাই জানে এসব কাগজপত্র বানানো যায়। আসামিরা ধরা পড়লে প্রায়ই এসব বানিয়ে আনে। এগুলো ফেক হতে পারে। এমনকি তার চলাফেরায়ও কোনো কমতি নেই।

আজ সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, আদালতকে জানিয়েছি, তৌহিদ আফ্রিদি একজন ‘মিডিয়া সন্ত্রাসী। সে মিডিয়ার মাধ্যমে ‘হাউন আঙ্কেলের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছে। এমন অনেক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যায় সে তার সঙ্গে মিলে দেশে আওয়ামী সন্ত্রাস, যুবলীগ সন্ত্রাস, ছাত্রলীগ সন্ত্রাসকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। দেশের ভেতরে সন্ত্রাস কায়েম করা ও ছাত্রজনকে হত্যা করার মতো কর্মকাণ্ডে সে সরাসরি জড়িত ছিল।

তিনি আরও বলেন, যাত্রাবাড়ীর ঘটনায়ও তৌহিদ আফ্রিদিসহ তিনজন ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল। ডিবি ‘হাউন আঙ্কেলেসহ এ ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। উভয় পক্ষের শুনানির পর আদালত আবেদন মঞ্জুর করে পাঁচ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে তৌহিদ আফ্রিদির জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন শিক্ষার্থীদের শরীরের কাপড়চোপড় সরিয়ে ভিডিও করে জিম্মি করে রাখতো। দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ তাকে খুঁজছিল। অবশেষে গতকাল বরিশাল থেকে তাকে সিআইডি গ্রেফতার করে।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলায় কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফরাজানা হক রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

এর আগে, তৌহিদ আফ্রিদিকে গত রোববার রাতে সিআইডির একটি দল বরিশাল থেকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে তাকে ঢাকায় আনা হয়। এরও আগে ১৭ আগস্ট রাজধানীর গুলশান থেকে আফ্রিদির বাবা নাসিরকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন এ মামলায় তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।



banner close
banner close