২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে তরুণদের যে অদম্য স্পিরিট প্রকাশ পেয়েছিল, সেটিকে দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার কাজে লাগানো জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস. মুরশিদ।
রবিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নিরাপদ অ্যালায়েন্স আয়োজিত কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
শারমিন মুরশিদ বলেন, “তরুণদের মধ্যে আলাদা এক এনার্জি আছে। তাদের উৎসাহিত করলে অনেক কিছু সম্ভব। প্রযুক্তিগত দক্ষতায় প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের প্রতিভা বিকশিত করার সুযোগ দিতে হবে। আমরা চাই, যুবরা দেশ গঠনের মূল চালিকা শক্তি হোক।”
তিনি আরও বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে কিশোর-তরুণরা যে অদম্য সাহস দেখিয়েছিল, তা আন্দোলনের সাফল্য এনে দিয়েছে। যারা দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছে, তাদের চিরস্মরণীয় রাখা আমাদের দায়িত্ব। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই যুবদের পাশে থাকবে।”
অনুষ্ঠানে নিরাপদ অ্যালায়েন্সের কাউন্সেলিং ও সাইবার ইউনিটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। ২০টিরও বেশি সংস্থার অংশগ্রহণে গঠিত এ অ্যালায়েন্সের মূল লক্ষ্য হলো যুবসমাজকে কেন্দ্র করে সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করা ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন।
ইয়াং ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক যুধিষ্ঠির চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, “২০২৪ সালে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও যুবরা যে শক্তি দেখিয়েছিল, তা প্রমাণ করে—তরুণদের কণ্ঠস্বরকে কখনোই থামানো যায় না। ডিজিটাল দুনিয়ায় তাদের নিরাপত্তা ও মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করাই আমাদের প্রতিশ্রুতি। নিরাপদ ডিজিটাল বাংলাদেশ আমাদের অধিকার, আমাদের দায়িত্ব।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. ইমদাদ-উল-বারী, ঢাকা মহানগর পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার হারুনুর রশীদ এবং ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টারের প্রধান ইসমত জাহানসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
কর্মশালাটিকে আয়োজকরা দেশের যুবশক্তিকে কেন্দ্র করে মানসিক স্বাস্থ্য, সাইবার নিরাপত্তা ও নেতৃত্ব বিকাশকে শক্তিশালী করার দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগের সূচনা হিসেবে দেখছেন।
আরও পড়ুন:








