জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯ সংশোধনের মাধ্যমে কমিশনকে আরও কার্যকর ও শক্তিশালী করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। শনিবার সিলেটে আয়োজিত অংশীজন কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘মানবাধিকার কমিশন গঠনে স্বচ্ছ, উন্মুক্ত ও প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে। তবেই কমিশন নাগরিকদের অধিকার রক্ষায় নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে।’
সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত এই কর্মশালাটি যৌথভাবে আয়োজন করে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এতে সহযোগিতা করে ঢাকায় সুইজারল্যান্ডের দূতাবাস ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন আইন ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব হাফিজ আহমেদ চৌধুরী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুগ্ম সচিব এস এম শাফায়েত হোসেন। প্রবন্ধে কমিশনের বর্তমান ম্যান্ডেট, সীমাবদ্ধতা ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের উপ-আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক বলেন, ‘আইনের কিছু ধারা সংশোধনের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী ও কার্যকর মানবাধিকার কমিশন গড়া সম্ভব, যা আন্তর্জাতিক মান পূরণে সক্ষম হবে।’
কর্মশালায় সিলেটের জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলমসহ সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী, গণমাধ্যমকর্মী ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিরা অংশ নেন। বক্তারা মানবাধিকার রক্ষায় কমিশনের কার্যকারিতা বাড়াতে আইনি সংস্কার, নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেন।
আরও পড়ুন:








