রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ শিক্ষার্থী তাসনিয়া (১৫) মারা গেছেন। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “গত ২১ জুলাই শরীরের প্রায় ৩৭ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় তাসনিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আজ সকালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।”
নিহত তাসনিয়ার বাবা মো. নাজমুল কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, “আমাদের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী এলাকায়। বর্তমানে আমরা পরিবার নিয়ে উত্তরার খালপাড় এলাকায় ভাড়া থাকি। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে তাসনিয়া ছিল বড়। প্রায় ৩৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে আজ সকালে আমার মেয়ে চলে গেল।”
ডা. শাওন বিন রহমান জানান, মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত বার্ন ইনস্টিটিউটে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে ২৩ জন চিকিৎসাধীন আছেন এবং ১৪ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই দুপুরে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ চলাকালে একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৬ জন নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। নিহতদের অধিকাংশই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির তিন শিক্ষকও প্রাণ হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন:








