অদ্য ২১ আগস্ট ২০২৫ খ্রি. লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক প্রদত্ত আউটপাসে দেশে ফেরেন ১৭৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক। চার্টার ফ্লাইট (UZ-222) যোগে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ফরমে তথ্য লিপিবদ্ধকরণের সময় অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-এর সহযোগিতায় মানব পাচার চক্রের একজন এজাহারভুক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি হলেন সাখাওয়াত হোসেন, পিতা–দলিলুর রহমান, গ্রাম–মধুআই, ডাকঘর–মিয়াবাজার, থানা–ফেনী সদর, জেলা–ফেনী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়ায় মাফিয়া সিন্ডিকেট পরিচালনা ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে এয়ারপোর্ট থানা মামলা নং–২৭, ধারাঃ- মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২ এর ৬(২)/৭/৬(১)/৮/১০, তারিখ: ১৭ মার্চ ২০২৫ দায়ের রয়েছে। এছাড়া প্রাথমিক তদন্তে তার বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় আরেকটি দায়েরকৃত মামলার (মামলা নং–৩৩ ,তারিখ: ৪ মার্চ ২০২৫) তথ্য পাওয়া গিয়েছে। শিগগিরই মামলাগুলো সিআইডি অধিগ্রহণ করে আইন অনুযায়ী তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, অভিযুক্ত সাখাওয়াত হোসেন ৪০০/৫০০ বাংলাদেশী নাগরিককে ৪টি বোটে করে লিবিয়া থেকে ইতালিতে অবৈধভাবে প্রবেশ করানোর কথা স্বীকরা করে। এর মাধ্যমে সে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদে আরও কয়েকজন মানব পাচারকারী ও সহযোগীর তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ট্রাফিক হেলপার মো. শওকত আলী, পিতা–আব্দুল লতিব মাতুব্বর, গ্রাম–লক্ষীপুর, থানা–ভাঙ্গা, জেলা–ফরিদপুর। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন সহযোগীর নামও উঠে এসেছে, যারা বিদেশে উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের পাচার, আটক ও মুক্তিপণ আদায়ে সক্রিয় ছিল।
মানব পাচার প্রতিরোধে সিআইডির বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে ।
আরও পড়ুন:








