অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যে কোনো পরিস্থিতিতেই হোক এবং যত চ্যালেঞ্জিংই হোক, আমাদের সুস্থ সবল প্রজন্ম গড়ে তুলতেই হবে।
অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা এবং স্বাস্থ্যবান্ধব নীতিমালার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন ও দায়িত্বশীল নাগরিক আচরণ প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি।’
বুধবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় যৌথ ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এই ঘোষণার মাধ্যমে অসংক্রামক রোগ মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ ও আন্তঃমন্ত্রণালয় সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়।
ড. ইউনূস বলেন, ‘সচেতনতা থাকলেও বাস্তব জীবনে তার প্রতিফলন অনেক সময় দেখা যায় না। ফলে দেশের তরুণ সমাজ নানাভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে। পুষ্টিহীনতা ও অতিরিক্ত ওজন, দুই চরম বিপরীত পরিস্থিতিই একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে অনেকের মধ্যে।’
তিনি তামাক ব্যবহার, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও চিনির অতিরিক্ত ব্যবহার নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং জাতীয় নীতিগুলোকে আরও স্বাস্থ্যবান্ধব করার আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, যৌথ ঘোষণার কার্যকর বাস্তবায়নে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি খাত, যুব সমাজ ও নাগরিক সমাজকে যুক্ত করতে হবে। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতা, বিশেষ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তাও গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘোষণার বাস্তবায়নে নিবিড় মনিটরিং ও পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে। এটি কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং জাতীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হতে পারে।’
৫ আগস্টের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতার কথাও বিশেষভাবে তুলে ধরেন তিনি এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন:








