রবিবার

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

নতুন ৮ দেশে এস আলমের টাকা পাচারের চিহ্ন, ১১৭ দেশে এই প্রথম নজিরবিহীন তল্লাশি

ন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট, ২০২৫ ১০:২০

আপডেট: ১৩ আগস্ট, ২০২৫ ১১:০৫

শেয়ার

নতুন ৮ দেশে এস আলমের টাকা পাচারের চিহ্ন, ১১৭ দেশে এই প্রথম নজিরবিহীন তল্লাশি
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন এক অর্থপাচারের গোপন সাম্রাজ্যের চিত্র ফাঁস হয়েছে বিশ্বজুড়ে চালানো একটি তদন্তে। চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে নয়টি দেশে ছড়িয়ে থাকা ৪৭০টিরও বেশি শেল কোম্পানির মাধ্যমে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ২ লাখ ২৩ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা) পাচারের অভিযোগ উঠেছে।

এই অঙ্ক বাংলাদেশের জিডিপির প্রায় চার শতাংশ, যা আধুনিক বিশ্বের অন্যতম বড় আর্থিক কেলেঙ্কারির পর্যায়ে নিয়ে গেছে।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শুরু হওয়া অনুসন্ধানে উঠে এসেছে বিলাসবহুল ভিলা, পাঁচতারকা হোটেল, অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং গোপন নাগরিকত্ব কেনার মতো বিস্ময়কর সম্পদের বিস্তার। দীর্ঘদিন গোপন থাকার এখন যা বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম বেপরোয়া আর্থিক কেলেঙ্কারি হয়ে উঠছে।

অন্তত নয়টি বিদেশি আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার সরবরাহ করা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি সর্বশেষ অগ্রগতি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এস আলম গ্রুপ অন্তত ৪৭০টি ‘শেল কোম্পানি’র মাধ্যমে নয়টি দেশে পাচার করেছে প্রায় ২ লাখ ২৩ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা (২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। বাংলাদেশের বর্তমান জিডিপির প্রায় ৪ শতাংশের সমান টাকা একক কোনো করপোরেট চক্রের হাত ধরে দেশের বাইরে পাচার, এমন কেলেঙ্কারি দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয়টি নেই।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থপাচারের এই ধরন ছিল জটিল ও বহুমুখী। দীর্ঘ পরিকল্পনা করে প্রতিটি দেশে গড়ে তোলা হয়েছে একাধিক শেল কোম্পানি। কাগজে-কলমে এগুলো আলাদা প্রতিষ্ঠান হলেও বাস্তবে একই নেটওয়ার্কের অধীনে পরিচালিত হয়েছে। আর্থিক উৎস গোপন রাখতে এসব কোম্পানি নিবন্ধনের সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোনো মূলধন উল্লেখ করা হয়নি।



banner close
banner close