
ঈদ মানে আনন্দ। সেই আনন্দ বিভিন্ন পেশাজীবী ও শ্রমজীবী মানুষদের কাছে অনেক সময় বিলাসিতার নাম। পরিচ্ছন্নকর্মী, নিরাপত্তারক্ষী ও জরুরি সেবায় নিয়োজিতদের ঈদের আনন্দ যেনো দায়িত্বে পরিণত হয়। নিজেদের ঈদের আনন্দ বিসর্জন দিয়ে সর্ব-সাধারণের ঈদ উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে কাজ করেন তারা।
ঈদের দিন সকালে না খেয়ে কাজে বেরিয়ে পড়তে হয়েছে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের। কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করে নগরবাসীকে স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ উদযাপনের সুযোগ করে দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তারা।
পরিবার ছাড়া ঈদ কষ্টের হলেও নগরবাসীর ঈদ উদযাপনের পরিবেশ সৃষ্টি করে দিতে পারায় খুশি তারা।
তবে আফসোসও আছে তাদের, যে নগরবাসীর জন্য নিজেদের আনন্দ বিসর্জন দিয়ে রাস্তায় কাজ করছেন, তারা কখনো তাদের ঈদের শুভেচ্ছা জানায়নি। উল্টো নিম্নস্তরের পেশাজীবী হিসেবেই তাদের বিবেচনা করেছেন।
পরিচ্ছন্নকর্মীদের মতো ছুটি পায়নি নিরাপত্তারক্ষীরাও। বিভিন্ন ব্যাংক, এটিএম বুথ ও আবাসিক এলাকার নিরাপত্তারক্ষীরা ঈদ করতে বাড়ি যেতে পারেনি। তাদের মধ্যে অনেকেই বুকে চাপা কষ্ট নিয়ে ঢাকায় ঈদ করছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন তারা না থাকলে তাদের কোম্পানি নিরাপত্তা হুমকিতে পড়বে। তাই বাস্তবতা মেনে নিয়েই পরিবার ছাড়া ঈদের আনন্দ খোজার চেষ্টা করছেন।
সারবছর ঢাকা শহরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যায় ট্রাফিক পুলিশ। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে যানজট নিরসনে কাজ করেন তারা। ঈদের সময় ঢাকা শহর তুলনামূলক ফাঁকা হলেও ছুটি মেলে না তাদের। পরিবার ছাড়া কোনো এক সিগন্যালেই কেটে যায় তাদের ঈদ। পরিবার ছাড়া ঈদ করার কষ্ট থাকলেও মানুষের সেবা করতে পারায় খুশি তারা।
আরও পড়ুন: