
যত সময় গড়াচ্ছে ততই মুসলমানদের ঘরের দুয়ারে কড়া নাড়ছে ইদুল আযহা। আসন্ন ইদুল আযহা উপলক্ষ্যে রাজধানীসহ দেশের সব জায়গার কোরবানির পশু বেচাকেনার হাটগুলো জমজমাট হচ্ছে। এবছর বাজারগুলোতে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদাই বেশি।
গবাদি পশু বেচাকেনায় দেশের অন্যতম বড় পশুর হাট বসে রাজধানীর গাবতলি। বুধবার সরেজমিনে গেলে ক্রেতা বিক্রাতারা বাংলা এডিশনকে জানায়, গত কয়েকদিনের তুলনায় বাজারে ক্রেতাদের ভীড় বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খামারিরাও তাদের লালন করা পশু আনতে শুরু করেছে।
বিস্তারিত লিংকে: https://www.youtube.com/watch?v=M_Xm7r5pi30
পশুহাটের নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং প্রতারক চক্রের আনাগোনা বন্ধে নিয়মিত মহড়া দিচ্ছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সেই সঙ্গে ক্রেতা বিক্রেতাদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে পুলিশ ও র্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। লেনদেন সহজতর করতে অস্থায়ী ব্যংকিং লেনদেনের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে গাবতলি পশুহাটে।
বিপুল সংখ্যক গরু,মহিষ,ছাগল,ভেড়াসহ কয়েকটি দুম্বা ও উটসহ বিভিন্ন জাতের কোরবানির পশু বিক্রি করতে রাজধানীর গাবতলী পশুহাটে এসেছেন বিক্রেতারা। ইতোমধ্যে ক্রেতা ও দর্শনার্থীর ভীড় বাড়তে শুরু করেছে। খামারী ও ব্যাপারীরা বাংলা এডিশনকে জানায়, এখনো বাজারে বেচাকেনা সেভাবে শুরু হয়নি তবে বুধবার সন্ধ্যা থেকে কোরবানির পশু ক্রেতাদের ভীড় বাড়তে থাকবে। পশু বেচাকেনার এই ভীড় থাকবে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত।
পুরোদমে বেচাকেনা শুরু না হলেও এবছর পশুর দাম বিগত বছরগুলোর তুলনায় কম বলে জানায় পশু বিক্রেতারা। এই দাম নিয়ে সন্তুষ্ট ক্রেতারাও। তারা বলেছেন, ছোট ও মাঝারি পশুর চাহিদা বেশি থাকায় দাম একটু বেশি হলেও বড় পশুর দাম তুলনামূলক কম।
ক্রেতা-বিক্রেতা স্বস্তির কথা বাংলা এডিশনকে জানিয়ে হাসিল ঘরের একজন সদস্য বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধা অসুবিধা তারা দেখভাল করছেন। কোন সমস্যা দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
গাবতলিসহ এবছর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি মিলিয়ে মোট ২১টি স্থানে পশুর হাট বসানো হয়েছে। প্রতিটি হাটেই বিক্রি হচ্ছে গরু, ছাগল, ভেড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির কোরবানির পশু। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপরতা থাকায় এখন পর্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
আরও পড়ুন: