
রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দালালচক্রের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী ও র্যাবের নেতৃত্বে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী।
শনিবার বেলা ১১টা থেকে হাসপাতালের বিভিন্ন অংশে অভিযান শুরু করে তারা।
অভিযানে ৬ জন দালালকে আটক করা হয়েছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে ভর্তি বাণিজ্য, প্রতারণার মাধ্যমে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় এবং রোগীদের অন্যত্র বেসরকারি হাসপাতালে ভাগিয়ে নেয়ার কাজ করে আসছিল।
অভিযানে অংশ নেয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে এবং সরকারি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টা থেকেই হাসপাতাল এলাকায় বাড়তে থাকে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চলাচল। তারা গোপনে নজরদারি করে দালালদের অবস্থান নিশ্চিত করেন। এরপর বেলা ১১ টায় যৌথভাবে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষ টিম।
অভিযানে হাসপাতালের বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগ, ফার্মেসি ও গাড়ি পার্কিংয়ের আশপাশে সক্রিয় দালালদের চিহ্নিত করে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা হাসপাতালের প্রবেশপথ, রেজিস্ট্রেশন কাউন্টার কিংবা রোগীর স্বজনদের ভিড়ের মধ্য থেকে টার্গেট করে কথা বলেন এবং প্রলোভন দেখিয়ে রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালে নিতে চাপ প্রয়োগ করেন।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া একজন সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘জনস্বার্থে আমরা এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করছি। অনেক রোগী এখানে এসে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে, চিকিৎসা না পেয়ে দালালদের ফাঁদে পড়ে। আমরা চাই, সরকারি সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মানুষ নির্বিঘ্নে চিকিৎসা পাক।’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং চিকিৎসকরা যৌথবাহিনীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বহুদিন ধরেই দালালদের দৌরাত্ম্যে সরকারি চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছিল। রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছিলেন, এমনকি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তও হচ্ছিলেন।’
আরও পড়ুন: