সোমবার

২ জুন, ২০২৫
১৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
৬ , ১৪৪৬

বাংলাদেশের এক পয়সাও চুরি করবো না: বিশেষ সহকারী ফয়েজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩১ মে, ২০২৫ ১৮:২৫

শেয়ার

বাংলাদেশের এক পয়সাও চুরি করবো না: বিশেষ সহকারী ফয়েজ
ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ‘আমি বাংলাদেশ রাষ্ট্র এবং এদেশের মানুষের একটি পয়সাও চুরি করবো না—এই আস্থাটা আমার উপর রাখবেন আশা করি। আমি প্রচণ্ডরকম আর্থিক সততা নিয়ে বড় হয়েছি।’

সম্প্রতি নগদ সংশ্লিষ্ট কিছু অভিযোগ ও প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে শনিবার ফেসবুকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এসেছে, যা অনুচিত হয়েছে। এটা আমি বিনাবাক্যে স্বীকার করছি। আমি তাকে প্রচণ্ডরকম বকাবকি করেছি এবং তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।’

নগদের সাবেক প্রশাসনকে ঘিরে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘সাবেক সরকারের কিছু লোক ভুয়া ই-কেওয়াসি করে, এজেন্ট নিয়োগ দিয়ে, অবৈধ মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট লেনদেনে অর্থ আত্মসাৎ করেছে। এসব দায় এখন আমাদের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে, যা অনৈতিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘ট্রান্সক্যাশ সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্টে জমা অর্থের বিপরীতে ৬৪৫ কোটি টাকার অবৈধ ইলেকট্রনিক মানি তৈরি হয়েছে। আমি নিজে গোয়েন্দা সংস্থাকে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছি। এসব পাবলিক করতে চাই।’

একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তৈয়্যব বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এমন বিভীষিকাময় দিন উপহার দিয়েছে যে, আমার জীবনে এরকম দিন আর আসেনি। আমি মানবজমিনের একজন কলাম লেখক; চাইলে তারা আমার বক্তব্য নিতে পাররতো।’

তৈয়্যব দাবি করেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি পক্ষ পরিকল্পিতভাবে ১৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ছড়িয়ে দিয়েছে, যেখানে প্রকৃতপক্ষে এই সময়ে কোম্পানির মোট ব্যয় ছিল আনুমানিক ৪৩ কোটি টাকা।’

তিনি আরও বলেন, নগদের পরিচালনায় বাংলাদেশ ব্যাংক ফরেনসিক নিরীক্ষার জন্য কেপিএমজিকে দায়িত্ব দিয়েছে, যেটির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আমি বলেছিলাম সিসিএ বা সিআইডির ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব দিয়ে কাজ করলেই সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।’

নগদ যেনো ধ্বংস না হয় সে বিষয়ে সতর্ক করে তৈয়্যব বলেন, ‘নগদ ৯ কোটির বেশি মানুষের সঙ্গে যুক্ত। এটি ধ্বংস হয়ে গেলে জনগণের ক্ষতি হবে, আর প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো মাফিয়া মনোপলি হয়ে উঠবে, সেবার মূল্যও বাড়বে।’

banner close
banner close