
ঢাকা রেঞ্জের নবনিযুক্ত ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেছেন, ঢাকা রেঞ্জের আওতাধীন ৯৮টি থানায় সিসি ক্যামেরা সংবলিত মনিটরিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। আমি নিজে মনিটরিং সেন্টারে থানায় সেবাগ্রহীতাদের এবং ভুক্তভোগীদের সঙ্গে ভিডিওকলে সরাসরি কথা বলবো।
তিনি বলেন, যেন একজন ভুক্তভোগী থানায় এসে সর্বোচ্চ সেবাটি পেতে পারেন। রোববার (১১ মে) দুপুরে সেগুনবাগিচায় ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি বলেন, আপনাদের দায়ের করা জিডি, অভিযোগ, মামলা মনিটরিং করবো। একটি দক্ষ টিম দ্বারা প্রত্যেকটি জিডি, অভিযোগ, মামলা সুনিপুণভাবে মনিটরিং করা হবে। ঢাকা রেঞ্জের আওতাধীন ৯৮টি থানায় সিসি ক্যামেরা সংবলিত মনিটরিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। আমি নিজে মনিটরিং সেন্টারে থানায় সেবাগ্রহীতাদের এবং ভুক্তভোগীদের সঙ্গে ভিডিওকলে সরাসরি কথা বলবো; যেন একজন ভুক্তভোগী থানায় এসে সর্বোচ্চ সেবাটি পেতে পারেন। ঢাকা রেঞ্জের প্রতিটি থানাকে বাংলাদেশ পুলিশের রোল মডেল থানা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে দায়ের করা মামলা নিবিড়ভাবে মনিটরিংয়ের জন্য ডিআইজি অফিসে একটি বিশেষ মনিটরিং সেল খোলা হবে। মনিটরিং সেলে আমি প্রত্যেকটি মামলার বাদী, ভুক্তভোগী, গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলবো এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
ঢাকা রেঞ্জের জনগণের জন্য ‘টক টু ডিআইজি’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ চালু হচ্ছে জানিয়ে রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, যার মাধ্যমে ঘরে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে যে কোনো অপরাধের তথ্য বা সাহায্য প্রাপ্তির জন্য আমাকে জানাতে পারবেন। অ্যাপে যারা তথ্য দেবেন, অবশ্যই তথ্যদাতার পরিচয় আমরা গোপন রাখবো। শিগগির অ্যাপটি চালু করে আপনাদের জানানো হবে।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল মল্লিক আরও বলেন, এসপি, ওসিরাও যদি কোনো অন্যায় করেন, সরাসরি আমাকে জানাবেন। যদি প্রমাণিত হয়, আমি তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবো। এ লক্ষ্যে, ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের প্রতিটি থানা-ফাঁড়ি-ক্যাম্প-সার্কেল অফিস-এসপি অফিস এবং আমার অফিসেও অভিযোগবক্স স্থাপন করা হবে। কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেলে অভিযোগ বক্সে সেবা গ্রহীতারা তাদের অভিযোগ জানাতে পারবেন এবং আমি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবো।
আপনাদের প্রতি অনুরোধ, কোনো ধরনের অপরাধমূলক কাজে অংশ নেবেন না। যে যে জেলায় অবস্থান করছেন সবাই আইন ও বিধি মেনে চলুন। আমরা আপনাদের সেবার জন্য পাশে আছি। একই সঙ্গে আমরাও আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি। আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়ে ঢাকা রেঞ্জের আওতাধীন ১৩টি জেলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় চেষ্টা করে যাবো।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা রেঞ্জের আওতাধীন থানা-ফাঁড়ি-সার্কেল অফিস, এসপি অফিসে কোনো রকম অন্যায়-অবিচার ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। ঘুস বাণিজ্য, বদলি বাণিজ্য আমার রেঞ্জে বরদাশত করা হবে না। যে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি কঠোর হাতে দমন করা হবে। আমরা জনগণের নিরাপত্তা দিতে এসেছি।
‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা দমন-পীড়ন করেছে, যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, মামলার তদন্তে যারা দোষী, যারা দোসর হিসেবে পরিচিত তাদের গ্রেফতারের নির্দেশনা দিয়েছি।’
রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, সাধারণ মানুষ যেন সুবিচার পায়; অন্যায়-জুলুম থেকে বাঁচতে পারে সেটি নিশ্চিত করা হবে। এমনকি আমিও আইনের ঊর্ধ্বে নই। আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি, ঢাকা রেঞ্জের কোনো পুলিশ সদস্য যদি কোনো ধরনের অনৈতিক ও অপেশাদার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়-তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: