শনিবার

১০ মে, ২০২৫
২৭ বৈশাখ, ১৪৩২
১২ জিলক্বদ, ১৪৪৬

ডিএনএর বেশি মিশ্রণে দুই খুনির ছবি প্রস্তুত সম্ভব নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০ মে, ২০২৫ ০৮:০০

শেয়ার

ডিএনএর বেশি মিশ্রণে দুই খুনির ছবি প্রস্তুত সম্ভব নয়
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি।

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে দুই ব্যক্তি জড়িত। কিন্তু ডিএনএ’র অধিক মিশ্রণজনিত কারণে দুই খুনিকে শনাক্ত করতে পারেনি মার্কিন প্রতিষ্ঠান প্যারাবন স্ন্যাপশট। টাস্কফোর্সের অগ্রগতি প্রতিবেদনে এমন তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, বটি, ছুরির বাট এবং সাগর-রুনির পরিধেয় বস্ত্রাদিসহ অন্যান্য আলামত ও ২৫ জন ব্যক্তির বুকাল সোয়াব (মুখের ভেতরের কোষ থেকে ডিএনএ সংগ্রহ) সংগ্রহপূর্বক ডিএনএ পরীক্ষার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাইওনিয়ার ফরেনসিকস, ইন্ডিপেনডেন্ট ফরেনসিক সার্ভিসেস এবং নেদারল্যান্ডের ইন্ডিপেনডেন্ট ফরেনসিক সার্ভিস (আইএফএস) ল্যাবে প্রেরণ করা হয়। আলামতে প্রাপ্ত ডিএনএর সঙ্গে প্রেরিত ব্যক্তিদের ডিএনএ ম্যাচিং হয়নি বলে ডিএনএ ল্যাব কর্তৃক প্রেরিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ল্যাব প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ঘটনাস্থলে চার জন ব্যক্তির ডিএনএ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তিন জন পুরুষ ও এক জন নারী। তিন জন পুরুষের মধ্যে একজন সাগর সারওয়ার এবং একজন নারী মেহেরুন রুনির বলে শনাক্ত হয়। বাকি দুই জন অজ্ঞাত পুরুষ, এরা কারা তা উদ্ঘাটন করা যায়নি। অজ্ঞাতনামা দুই জন পুরুষের ডিএনএ থেকে ছবি করতে ডিএনএ সেলে ছবি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান প্যারাবন স্ন্যাপশটে উক্ত ডিএনএ প্রেরণ করা হয়। কিন্তু ডিএনএ তে অধিক মিশ্রণজনিত কারণে প্যারাবন স্ন্যাপশট ছবি প্রস্তুত করতে পারেনি বলে মতামত দিয়েছে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও রুনি। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। ঐ দিনই রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। শেরেবাংলা নগর থানা চার দিন তদন্ত করে। পাঁচ দিন পর মামলাটির তদন্ত যায় ডিবির হাতে। ৬৩ দিন তদন্ত করে ডিবি। এরপর এক রিট মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের আদেশে তদন্তভার যায় র্যাবের হাতে। ২০১২ সালের ১৯ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ১২ বছর ৬ মাস ১৬ দিন তদন্ত করে র্যাব। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হাইকোর্টের আদেশে মামলার তদন্ত যায় টাস্কফোর্সের হাতে। টাস্কফোর্সের আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন পিবিআই প্রধান। সদস্য হিসেবে সিআইডি, র্যাব ও পুলিশ সদরদপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়েছে।

 

banner close
banner close