বৃহস্পতিবার

৮ মে, ২০২৫
২৫ বৈশাখ, ১৪৩২
১০ জিলক্বদ, ১৪৪৬

পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের বিমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৭ মে, ২০২৫ ২২:১৪

শেয়ার

পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের বিমান
পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের বিমান।

ভারত-পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি হামলার কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলাচল করছে। বিকল্প রুটে চলাচলের কারণে বিভিন্ন ফ্লাইটে একটু বেশি সময় লাগছে।

বুধবার (৭ মে) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক এ বি এম রওশন কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার কারণে পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের বিমানগুলো। বিকল্প রুটে চলাচল করার কারণে বিভিন্ন ফ্লাইটে একটু বেশি সময় লাগছে। তবে এখনও ভারতের ওপর দিয়ে চলাচল স্বাভাবিক আছে।

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মীরে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা। পরোক্ষভাবে পাকিস্তান এ হামলায় জড়িত, এমন অভিযোগ তুলে বুধবার দেশটির সঙ্গে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে ভারত। পাশাপাশি আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয় দেশটি। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান। স্থগিত করে দেওয়া হয় ভারতের সঙ্গে সবরকম বাণিজ্যও।

এরপর থেকে দুদেশের পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধমকিতে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করে পরিস্থিতি, রীতিমতো যুদ্ধের রূপ ধারণ করেছে যা এখন। বুধবার (৭ মে) সকালে এক ব্রিফিংয়ে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেন, গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর কোটলি, ভাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাগ ও মুজাফফরাবাদে ‘কাপুরুষোচিত’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। ইতোমধ্যে এর বদলা নিতে শুরু করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।

একইদিন সকালে আরেক বিবৃতিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পাকিস্তানি সেনাদের গোলাবর্ষণে তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

এর আগে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরে হামলার পর ভারত সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, ভারতের সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিন্দুর’ শুরু করেছে। এর আওতায় পাকিস্তান ও পাকিস্তান–নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরের ৯টি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। 

তবে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর কোনো স্থাপনাকে এ অভিযানে নিশানা বানানো হয়নি উল্লেখ করে ভারত দাবি করছে, মূলত পাকিস্তানের অভ্যন্তরে লস্কর-ই-তৈয়বা, জইশ-ই-মোহাম্মদ এবং হিজবুল্লাহ মুজাহিদীন গোষ্ঠীর অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে তারা, যেখানে অন্তত ৭০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

 

 

banner close
banner close