
বাংলাদেশে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের মধ্যে আলোচনা চলছে। এই সংলাপের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে ঐক্যমত্য সৃষ্টি করা এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পুনর্গঠন করা। শনিবার (৩ মে) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ তার বক্তব্যে বলেন, সরকার এবং কমিশনের সুনির্দিষ্ট কোনো এজেন্ডা নেই, তবে তারা রাষ্ট্র পুনর্গঠন এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করার চেষ্টা করছে।
আলীর রীয়াজ জানান, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তা নিয়ে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করার লক্ষ্যে কাজ করছে, যা ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে চূড়ান্ত হবে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকবেই, তবে জাতীয় স্বার্থে সবাইকে কিছুটা ছাড় দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, রাষ্ট্র পুনর্গঠন এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।
এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ জানিয়েছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবগুলির মধ্যে তাদের দল ১১২টি প্রস্তাবে একমত হয়েছে, ২৬টি প্রস্তাবে একমত নয়, এবং ২৮টি প্রস্তাবে আংশিক একমত। তিনি বলেন, এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যতে আরও ভালো আলোচনার পথ তৈরি করবে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান।
অবশেষে, আলী রীয়াজ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কারও প্রতিপক্ষ নয়, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে একটি জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। তাদের উদ্দেশ্য সুনির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য গঠন করা, যা বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: