ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় লক্ষ লক্ষ মানুষ নিহতের ঘটনায় দেশটির সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন কোম্পানি বয়কটের মুখে পড়ে মুসলিম দেশ গুলোতে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্য মুসলিম দেশের নাগরিকরাও এতে একাত্মতা প্রকাশ করেন। বয়কটের ডাক দেওয়া হয় কোকাকোলা-পেপসিসহ ইসরায়েলি পণ্য। সম্প্রতি চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মুসলিমরা ইসরায়েলের কোকাকোলা-পেপসিসহ সকল পন্য বয়কট করেন।
এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড তাদের কোমল পানীয় মোজো সুযোগ বুজে দাম বাড়ি দেয়। ইসরায়েলের পণ্য বয়কট ঘোষণার আগে দুই লিটার মোজো খুচরা বিক্রি হত আশি টাকায়। সুযোগ বুজে ধর্মকে পূজি করে আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড দুই লিটারের মোজোর নতুন দাম নির্ধারণ করেছে একশত দশ টাকা। একই ভাবে এক লিটারের মোজো ষাট টাকায় বিক্রি হলেও বিশ টাকা দাম বাড়িয়ে আশি টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মোজোর হঠাৎ মূল্য বৃদ্ধিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনা করে বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য করে যাচ্ছে নেটিজেনরা।মোজো'র দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে বিস্ময় এবং উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন, বাংলাদেশে ইসরায়েলের পণ্য বয়কটের সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।
ইব্রাহিম নামে এক দোকানদার বলেন, ইসরায়েলের পন্য কোকাকোলা-পেপসিসহ সকল পন্য বয়কট হওয়ার পর থেকে মোজো খুব বেশি চলছে তার কারনেই হয়তো দাম বাড়িয়ে দেয়।এসব কোমলপানীয় মানব দেহের জন্য কতোটা স্বাস্থ্য সম্মত এ নিয়ে কথা হয় সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল আমিনের সাথে। তিনি বলেন, মোজোসহ বিভিন্ন রঙিন কোমলপানীয় শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই নিরাপদ নয়। এগুলোতে চিনি ও কেমিক্যালের মাত্রা অনেক বেশি, যা দীর্ঘমেয়াদে শিশুদের হজমপ্রক্রিয়া ও দাঁতের ক্ষতি করতে পারে।
এ বিষয়ে বাংলা এডিশন থেকে আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড এর সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। দাম বাড়া একদিকে যেমন ভোক্তাদের কষ্ট দিচ্ছে, অন্যদিকে শিশুদের এই পানীয় থেকে দূরে রাখার একটি সুযোগ হতে পারে। তবে জনস্বার্থে প্রশাসনের নজরদারি এবং মূল্যনিয়ন্ত্রণ প্রয়োজনে বলে দাবি করেছেন সাধারণ ক্রেতারা।
আরও পড়ুন:








