
বাংলাদেশের মুসলমানদের বহিঃবিশ্বে জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদী হিসেবে চিত্রায়িত করার জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে মিডিয়া হাউজ গুলো। আবার কৌশলে উস্কানি দিয়ে দেশের মুসলিমদের সহিংসতায় জড়ানোর চেষ্টাও করেছে সংবাদমাধ্যম গুলো। আর একাজ সবচেয়ে বেশি করেছে প্রথম আলো।
এবারের ঈদে কার্টুন একে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে প্রথম আলো। তাদের কার্টুনে ঈদের চাঁদের পাশাপাশি সামনে দুইজন কিশোর-কিশোরীর ছবির নিচে আরও কয়েকজনের ছবি দিয়ে কার্টুন আকা হয়। তবে ঈদ মোবারক লেখার নিচে একটু কুকুরের ছবিও দিয়েছে প্রথম আলো।
বিস্তারিত: https://www.youtube.com/watch?v=0ddOuStFq6k
ঈদের একদিন আগে ৩০ মার্চ বিতর্কিত এই কার্টুন ছাপে পত্রিকাটি। আগের তুলনায় এবারের ঈদ ব্যাপক উদযাপনের মধ্য দিয় পালন করেছে মুসলিমরা। রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন জায়গায় ঈদ জামাত আয়োজনের পাশাপাশি ঈদ মেলারও আয়োজন করা। তবে মুসলিমদের ঈদকে বিতর্কিত করতে ঈদ কার্টুনে কুকুরের ছবি যুক্ত করেছে প্রথম আলো। সম্প্রীতির বন্ধন নষ্ট করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে এমন কার্টুন ছাপানো হয়। তবে প্রথম আলোর এই উস্কানিতে পা দেয়নি দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পালনে এমন অবমাননাকর কার্টুন ছাপলেও অন্য ধর্মের উৎসব গুলোকে মহিমান্বিত করে প্রচার করে প্রথম আলো। ঈদকে বিতর্কিত করলেও পত্রিকাটি অন্য ধর্মের উৎসবকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তির বলে প্রচার করে। অথচ ইসলাম ধর্মেই সবচেয়ে বেশি শান্তি ও সম্প্রীতির কথা বলা আছে।
ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করা প্রথম আলোর ইতিহাসের সঙ্গে মিশে আছে। ২০০৭ সালে মহানবীকে ব্যঙ্গ করে একটি কার্টুন ছাপে পত্রিকাটি। প্রথম আলো তাদের সেই কার্টুনে মুসলিমদের নামের আগে ব্যবহার করা মুহাম্মদকে বিড়ালের সঙ্গে তুলনা করে।
প্রথম আলোর ফান-ম্যাগাজিন আলপিনে একটি কার্টুন ছাপে তারা। সেখানে দেখা যায় একটি অল্প বয়স্ক ছেলের নাম জিজ্ঞেস করছেন বয়স্ক একজন ব্যক্তি। ছোট ছেলেটি নামের আগে মুহাম্মদ না বলে শুধু তাঁর নাম বলে। এতে বয়স্ক ঐ ব্যক্তি তাকে নামের আগে মুহাম্মদ বলতে বলেন। এরপর ছেলেটির কোলে থাকা বিড়ালের দিকে ইঙ্গিত করে লোকটি জানতে চান, এটা কি? উত্তরে অল্প বয়স্ক ছেলেটি বলে, ‘মুহাম্মদ বিড়াল’। মহানবীকে কটুক্তি করে এমন কার্টুন ছাপে প্রথম আলো। যেখানে প্রাণীর নামের আগে মুহাম্মদ যুক্ত করা হয়।
বিশ্ব নবীকে নিয়ে এমন কটুক্তি করে ইসলাম ধর্মকে ছোট করেছে প্রথম আলো। নবীজীর নাম নিয়ে তাদের এমন ব্যঙ্গাত্মক কার্টুনের পরে আন্দোলনে নামে মুসলিমরা। ২০০৭ সালের ঐ ঘটনার পর দাবি জানানো হয় প্রথম আলোর লাইসেন্স বাতিল করার।
এবারের ঈদে আরও একটি ঘটনা ঘটিয়েছে প্রথম আলো। গাজীপুরের কাপাসিয়ায় রাজনৈতিক কারণে বন্ধ হয় নাটকের মঞ্চায়ণ। তবে প্রথম হেডলাইন করে, কাপাসিয়ায় মুসল্লিদের বাঁধায় ‘আপন দুলাল’ নাটকের মঞ্চায়ণ বাতিল। পরে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে জানানো হয়, বিএনপির দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে স্থগিত করা হয়েছে নাটকের মঞ্চায়ন। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে ঘটা ঘটনা গুলোকে মুসল্লিদের উপর চাপিয়ে দিয়ে মুসলিমদের বিতর্কিত করার সূক্ষ্ম কু-কৌশল অবলম্বন করেছে প্রথম আলো।
মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা ও বিতর্কিত করার চেষ্টা প্রথম আলোর অনেক পুরোনো অভ্যাস। শেখ হাসিনা ও ভারতের মদদে দাঁড়ি-টুপিওয়ালাদের জঙ্গি সাজিয়ে মুসলমানদের দমনও করতে চেয়েছে প্রথম আলো।
মুফতি হারুন ইজহার, জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত থাকার মিথ্যা অভিযোগে তাকে একাধিকবার গ্রেফতার করা হয়। আর তাকে গ্রেফতারের মূল কারণ ছিলো প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে সংবাদ প্রচার। ট্রান্সকম গ্রুপের এই দুটি পত্রিকায় হারুন ইজহারকে হরকাতুল জিহাদের সদস্য হিসেবে খবর প্রচারের পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
হারুন ইজহারের মতো এমন অনেক মুফতিকে জঙ্গি সাজিয়েছে প্রথম আলো। মাদরাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের তো ইচ্ছে হলেও জঙ্গি সাজাতো পত্রিকাটি। তাদের এই তালিকা থেকে বাদ যায়নি সাবেক সেনা কর্মকর্তারাও। অবসপ্রাপ্ত মেজর মোঃ মোহসিনুল করিমের সঙ্গেও জঙ্গি নাটক সাজিয়েছিলো প্রথম আলো।
দাঁড়ি-টুপি দেখলেই প্রথম আলো জঙ্গি নাটক সাজিয়েছে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নাই। সাধারণ মানুষ বলছেন, ইসলাম চর্চা করলেই প্রথম আলো তাদের জঙ্গি বলতো। কেউ নবীজীর সুন্নাত পালনে দাড়ি রাখলে তাকেও জঙ্গির তকমা দিয়েছে প্রথম আলো।
এদিকে বিভিন্ন সময় খবর প্রচার করে জঙ্গিবাদকে উস্কে দিয়েছে প্রথমা আলো। আপনার সন্তান জঙ্গি হচ্ছে না তো? এসব খবর যতটা না মানুষকে সচেতন করতো তাঁর চেয়ে বেশি বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র তকমা দিতো। ভারতের মন রক্ষায় ইসলাম বিরোধী সমস্ত কাজ করেছে প্রথম আলো। আলেম ও মুসলিমদের ধ্বংস করতেই প্রথম আলো বাংলাদেশে ইসলাম বিরোধী এজেন্ডা বাস্তsবায়নে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: