রবিবার

২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৩ পৌষ, ১৪৩২

২১ ফেব্রুয়ারি থেকে মেট্রোরেল বন্ধের হুঁশিয়ারি কর্মীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ১৩:৪১

শেয়ার

২১ ফেব্রুয়ারি থেকে মেট্রোরেল বন্ধের হুঁশিয়ারি কর্মীদের
ছবি: সংগৃহীত

চাকরিবিধি চূড়ান্ত করতে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন মেট্রোরেল পরিচালনকারী কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা।

বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেছেন, “স্বয়ংসম্পূর্ণ চাকরি বিধিমালা প্রণয়ন না হলে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে মেট্রোরেল সেবা বন্ধ থাকবে। ঢাকাবাসী মেট্রোরেল সেবা থেকে বঞ্চিত হলে ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।”

“ডিএমটিসিএলে সরাসরি উন্মুক্ত নিয়োগের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ” ব্যানারে দেওয়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান স্বয়ংসম্পূর্ণ চাকরি বিধিমালা প্রণয়ণ করতে গত ১২ সেপ্টেম্বর নির্দেশনা দেন। সেই অনুযায়ী ৬০ দিনের মধ্যে বিধিমালা প্রণয়ন করে সড়ক বিভাগে পাঠানোর সিদ্ধান্ত আসে ডিএমটিসিএলের ৬০তম বোর্ড সভায়।”

কিন্তু ৫ মাস অতিবাহিত হলেও কোনো এক রহস্যজনক কারণে এটি প্রণয়ন করা হয়নি উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “স্বয়ংসম্পূর্ণ চাকরি বিধিমালা না থাকায় ডিএমটিসিএল এর ২০০ জনেরও বেশি দেশি ও বিদেশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ কর্মকর্তা ও কর্মচারী চাকুরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। ফলে মেট্রোরেল পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ হুমকির মুখে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।”

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এই বিধিমালা প্রণয়নে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জোর দাবি জানানোর পর সোমবার পর্যন্ত ডিএমটিসিএলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ খসড়া চাকরি বিধিমালার ওপর বিশদ আলোচনা করেছে। খসড়া চাকরি বিধিমালা সংশোধন করে দ্রুত বোর্ড মিটিংয়ের মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণ বিধিমালা প্রণয়ন করবে বলে কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে।”

এ বিষয়ে মঙ্গলবার সকালে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, “সার্ভিস রুল চালুর একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এটা চূড়ান্ত হওয়ার পথে আছে। একটা কমিটি করা হয়েছে, তারা দেখার পর সেটি বোর্ডে যাবে। সার্ভিস রুলটা হওয়ার দরকার ছিল, কিন্তু এতদিনেও হয়নি এটা ব্যর্থতা। আগামী তিন দিনের মধ্যে হয়তো হবে না। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলছি।”



banner close
banner close