৫ আগস্টের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে লুট হওয়া ১ হাজার ৪০০ অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। পাশাপাশি আড়াই লাখ বিভিন্ন ধরনের গুলি উদ্ধার সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আবদুল হাফিজ। একইসঙ্গে তিনি জানান, দেশব্যাপী যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।
মঙ্গলবার তিন দিনের জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিনের প্রথম কর্ম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ‘প্রায় ৬ হাজার অস্ত্র লুট হয়েছে। তিন ভাগের চার ভাগ উদ্ধার হয়ে গেছে। ৬ লাখ গুলির মধ্যে মাত্র আড়াই লাখ উদ্ধার করা যায়নি, তার মানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে চলমান যে অভিযান আছে সেগুলোর মাধ্যমে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।’
তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের ৩টি প্রত্যাশা। এই প্রত্যাশাগুলো আকাশচুম্বী নয়। প্রথমত তারা নিরাপদে ঘুমাতে চায়, নিরাপদে চলাফেরা করতে চায়। দ্বিতীয়টি হলো দ্রব্যমূল্য যেন ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং তৃতীয়টি হলো যে সার্ভিস বা সেবা সরকারের কাছে তাদের পাওয়ার কথা, সেটা যেন তারা কোনো কষ্ট বা হয়রানি ছাড়া পায়। আমি এটাও বলেছি মাঠপর্যায়ে জেলা প্রশাসকরা যারা আছেন তারাই আসলে সরকার। মানুষের জন্য তারাই সরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিসিরা সিভিল মিলিটারি কো-অপারেশন বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছেন এবং যুব সমাজের জন্য ইউনিভার্সাল মিলিটারি ট্রেনিংয়ের প্রস্তাব করেছে। আনসার ভিডিপির মাধ্যমে প্রত্যেক ইউনিয়নে অলরেডি ট্রেনিং চলছে। এটা সরকারের সিদ্ধান্ত কারণ এখানে আর্থিক সংশ্লিষ্ট বিষয় আছে।’
আরও পড়ুন:








