অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে দেশের যে উচ্চ প্রবৃদ্ধি দেখানো হয়েছিল, তা ভুয়া।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব কেনো সে সময় শেখ হাসিনার দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি।
বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডে আলপাইন রিসোর্টে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ড. ইউনূস।
গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেষ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ৮৪ বছর বয়সী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে দেশের অর্থনীতি ও বিশাল গার্মেন্টস শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করানোর কৃতিত্ব দেয়া হয় শেখ হাসিনাকে। যদিও সমালোচকরা তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং বাকস্বাধীনতা ও ভিন্নমতকে দমন করার অভিযোগ করেছেন।
২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ এর জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ শাসন করা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা, হত্যা, দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বিচারের মুখোমুখি করতে তাকে হস্তান্তরে দিল্লির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।
রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘শেখ হাসিনা দাভোসে সবাইকে বলেছিলেন, কীভাবে একটি দেশ চালাতে হয়, কিন্তু তখন কেউই সেটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি। এটি মোটেও ভালো বিশ্ব ব্যবস্থা নয়।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘এর জন্য পুরো বিশ্ব দায়ী। তাই এটি বিশ্বের জন্য একটি ভালো শিক্ষা।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসিনা বলেছিলেন, আমাদের প্রবৃদ্ধির হার অন্য সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। এটা একেবারে ভুয়া প্রবৃদ্ধির হার।’
১৭ কোটি জনসংখ্যার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রায় ৮ শতাংশে পৌছায়। শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে ক্ষমতা নেয়ার সময় এই হার ছিল প্রায় ৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন:








