রেজাউল করিম মল্লিক। ছবি: সংগৃহীত
ডিবি জনগণের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, আমি অপরাধ করলে আমারও বিচার হবে বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক।
রোববার শাহবাগ থানা এলাকায় ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে সিটিজেন ফোরামের আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জনগণের সহযোগিতা নিয়ে সর্বোচ্চ পুলিশি সেবা প্রদান করতে ও দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চান জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশ ও জনগণ একসঙ্গে কাজ করলে একটি সুন্দর সমাজ গড়ে উঠবে।
ডিবি প্রধান বলেন, আপনারা আমাদের মাদক, চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এমনকি ডিবির কোনো সদস্যর অপরাধ করার তথ্য পেলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, জনগণের পুলিশে পরিণত হতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। আমরা সেই পুলিশ হতে চাই, যে পুলিশ স্বাধীনতা যুদ্ধে অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছিল। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এই বিপ্লবকে আমাদের মনে প্রাণে ধারণ করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
এসময় রমনা বিভাগের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, পুলিশ সম্পর্কে জনমনে কোনো বিরূপ ধারণা যেন সৃষ্টি না হয়, সেই দিকে দৃষ্টি রেখে কাজ করতে হবে। জনগণের কাঙ্ক্ষিত সেবা ও জানমাল রক্ষায় যা করা দরকার তাই করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা যখন মসজিদে নামাজ পড়েন, মন্দিরে পূজা অর্চনা করেন, সেই সময় পুলিশ সদস্যরা আপনাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকে। বাংলাদেশ হবে সম্প্রীতির দেশ। সম্প্রীতির মাধ্যমে হিন্দু, মুসলিম ও বৌদ্ধ সবাই একত্রে বসবাস করতে পারবে।
পুলিশ ও জনগণের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। আমাদের একে অপরের পরিপূরক হয়ে কাজ করতে করতে হবে। জনগণ পুলিশ একসঙ্গে থাকতে চাই। সকলের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চাই বলেও জানান তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সভায় উপস্থিত শাহবাগ থানা এলাকার নাগরিকদের কাছে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা উন্নতির জন্য তাদের মতামত ও পরামর্শ জানতে চাইলে উপস্থিত জনতা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে তাদের মতামত উপস্থাপন করতেন।
মতবিনিময় সভা আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে সভায় উপস্থিত একজন বলেন, আমরা চাই প্রশাসন ও জনগণ একসঙ্গে কাজ করুক। এতে মাদক ও চাঁদাবাজি নির্মূল করা সহজ হবে। আমরা আপনাদেরকে সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, ডিএমপির রমনা বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
আরও পড়ুন:
