বৃহস্পতিবার

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১০ পৌষ, ১৪৩২

বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নাম পরিবর্তন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১৮:০৯

শেয়ার

বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নাম পরিবর্তন
নির্মাণাধীন যমুনা রেল সেতু। ছবি: সংগৃহীত

উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা রাজধানীর সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের সংযোগকারী যমুনা নদীতে নির্মিত রেল সেতুর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এই রেল সেতুর নাম ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেল সেতু’ থেকে পরিবর্তন করে নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘যমুনা রেল সেতু’।

রোববার বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন এ তথ্য জানান।

২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে এই রেল সেতু উদ্বোধন করা হতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যমুনা নদীতে নির্মিত রেল সেতুর নাম বঙ্গবন্ধু রেল সেতু থাকছে না। এটি এখন যমুনা রেল সেতু নামেই উদ্বোধন করা হবে।

আফজাল হোসেন জানান, এখন যমুনার বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুতে মিটারগেজের যে রেলসংযোগ রয়েছে তাতে সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক ৭০ কিলো-নিউটন/মিটার ওজন বহনের অনুমতি রয়েছে। ট্রেনে বেশি বগি যুক্ত করার সুযোগ নেই, সঙ্গে রয়েছে এক লাইনের সীমাবদ্ধতা। এই সেতুতে ঘণ্টায় মাত্র ২০ কিলোমিটার গতিতে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার সেতু পার হতে একটি ট্রেনের ২৫ মিনিটের মতো সময় লেগে যায়। সেতুর ওপর একটি লাইন হওয়ায় দুই পাড়ের স্টেশনে সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘসময়। সবমিলিয়ে মাত্র ৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে এক ঘণ্টার বেশি।

তিনি আরও বলেন, রেলে ইঞ্জিনের সংকট রয়েছে, তাই নতুন ট্রেন চালু করতে পারছি না। তবে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি অনুরোধ করেছেন, পাবনাবাসীর জন্য নতুন ট্রেন চালু করা যায় কিনা এবং এ বিষয়ে আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি।

এর আগে, গত শুক্রবার, অন্তর্বর্তী সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম সেতুটি পরিদর্শন করেন এবং জানান যে, তারা সাধারণত বিভিন্ন স্থাপনার নাম স্থানীয় এলাকার নাম অনুসারে রাখতে আগ্রহী। তার মতে, যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নাম বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, বিগত সরকার ২০২০ সালের ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর সমান্তরালে ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকের ৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদন করে। রেল সেতুটি নির্মাণে প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এর মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হয়। এতে প্রকল্পের ব্যয়ও বৃদ্ধি করা হয়। পরে ব্যয় বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা দাঁড়ায়। এর মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৪ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা এবং জাপানের জাইকা ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা অর্থায়ন করে।



banner close
banner close