
অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছেন, অংশ নিয়েছেন এমন ছাত্ররা টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হচ্ছেন। এই ইস্যুতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো ধরনের তৎপরতা দেখতে দেখা যাচ্ছে না। এটা খুবই নিন্দনীয়। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যদি ছাত্রদের নিরাপত্তা দিতে না পারেন তাহলে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত “বুদ্ধি হত্যার পরম্পরা: ‘৭১ ‘২৪” শীর্ষক সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সেলের সম্পাদক জাহিদ আহসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে লিখিত প্রবন্ধ পাঠ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল। আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রাজনৈতিক বিশ্লেষক সারোয়ার তুষার এবং নাগরিক কমিটির সদস্য লেখক তুহিন খান।
সারোয়ার তুষার বলেন, আমরা আশঙ্কা করেছিলাম, বাংলাদেশে টার্গেটেড কিলিং শুরু হতে পারে। দেখতে পাচ্ছি, অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছে, অংশ নিয়েছে; এমন ছাত্ররা টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হচ্ছেন। আমরা যদিও বলেছিলাম, এ সরকারকে সহায়তা করব, জবাবদিহির মধ্যে রাখব, এসব ক্ষেত্রে সরকার আছে, মনে হয় না। আমরা এ ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কোনো ধরনের তৎপরতা দেখতে পাচ্ছি না। এটা খুবই নিন্দনীয়।
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যদি ছাত্রদের নিরাপত্তা দিতে না পারেন, তাহলে তাঁকে পদত্যাগ করা উচিত। ওবায়দুল কাদের দেশ ছেড়ে চলে গেছে, ওনি জানলে নাকি ধরতেন। এটা তো আওয়ামী লীগের মন্ত্রীদের মত কথাবার্তা। এটা তো আপনার কাছে শুনতে চাই না।
নাগরিক কমিটির তুহিন খান বলেন, ওবায়দুল কাদের ১৬ জুলাই বলেছিলেন, ছাত্রলীগ নামায়ে দিলে এরা মাঠে থাকবে না। শেখ হাসিনা যেহেতু দেশে নাই, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার তো
প্রথমে ওবায়দুল কাদেরকে খোঁজা উচিত ছিল। তিনি (স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা) এ কথা কীভাবে বলেন, আমি জানলে ধরতাম। আপনি জানবেন না কেন? খুঁজলেন না কেন? আইন উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাজ কী আসলে?
আরও পড়ুন: