বৃহস্পতিবার

৮ মে, ২০২৫
২৫ বৈশাখ, ১৪৩২
১০ জিলক্বদ, ১৪৪৬

এবারের বিজয় দিবসকে ব্যতিক্রম উল্লেখ করে আজহারীর শঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১৮:৪৪

আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১৮:৪৪

শেয়ার

এবারের বিজয় দিবসকে ব্যতিক্রম উল্লেখ করে আজহারীর শঙ্কা
মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। ছবি: সংগৃহীত

এবারের বিজয় দিবসকে অন্যরকম বলে উল্লেখ করেছেন দেশবরেণ্য আলেম ও জনপ্রিয় ইসলামিক আলোচক মিজানুর রহমান আজহারী। তবে ৭১ এর আলোকে ২৪ এর স্বাধীনতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি আগামীর বাংলাদেশকে কীভাবে গড়া হবে তারও কিছু ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সোমবার বিজয় দিবস উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া পোস্টে ৭১ এর স্বাধীনতা, জুলাই বিপ্লব ও আগামীর বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। বাংলা এডিশনের পাঠকদের জন্য তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

এবারের বিজয়-দিবসটি অন্যরকম। সত্যিই অন্যরকম অনুভূতি। কারণ, জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি যে এখনো তাজা। স্বাধীনতা ২.০ এর স্বাদ নিয়ে আমরা উদযাপন করছি— এবারের বিজয়ের দিনটি। কিন্তু আজকের এই দিনে দাঁড়িয়ে আমি খুব করে ভাবতে চাই— জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহত ভাই-বোনদের ত্যাগের যথাযথ মূল্য কি আমরা দিতে পারছি?

একাত্তরে আমরা লড়াই করেছিলাম— জালিম রেজিমের বিরুদ্ধে। অন্যায় আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে। কিন্তু বছর না-ঘুরতেই আমাদের সেই বিজয় লুট হয়ে যায়। দেশ চলে যায় পুঁজিপতিদের পকেটে, কালচারাল এলিটদের দখলে। যার ফলাফল— ৭৪ এর ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ। যার ফলাফল— নিজ দেশে থেকেও আমরা কোণঠাসা।

এই কালচারাল এলিটরা বিগত ৫০ বছরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে নিজেদের খায়েশমতো ফ্রেইমিং করেছে। মুক্তিযুদ্ধে যেখানে অংশই নিয়েছে এদেশের আপামর মুসলিম জনতা, সেখানে মুসলিমদেরকেই বানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের প্রতিপক্ষ। দাড়ি-টুপিকে বানিয়েছে রাজাকারের প্রতীক। কালচারাল এলিটদের এই তীব্র মেরুকরণের ফলাফল— আজকের বৈষম্য আর ফ্যাসিজম।

তাই বিজয়ের দিনে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই— জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার প্রতীক ছিল মুসলিম ভাতৃত্ববোধ। তাদের হৃদয়ে ছিল শহিদি আকাঙ্ক্ষা। মজলুম, শহিদ, আল্লাহর সাহায্য— এসব পরিভাষাই সেদিন আন্দোলনকে ট্রিগার করেছিল। মানুষকে চুম্বকের মতো টেনে এনেছিল রাজপথে। একাত্তরও এর ব্যতিক্রম কিছু ছিল না।

বিজয়ের এই দিনটা উদযাপনের। একইভাবে ভবিষ্যত-কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করবার। আমরা এমন একটা বাংলাদেশ গড়তে চাই— যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। এমন একটা বাংলাদেশ, যেখানে কারো ধর্মীয় মূল্যবোধকে দমন করতে, কোনো 'জ*ঙ্গী' নাটক সাজানো হবে না। এমন এক বাংলাদেশ, যেখানে রাজনৈতিক সুবিধা হাসিলের উদ্দেশ্যে সংখ্যালঘুদের ওপর হাম*লার ছক আঁকা হবে না। যেখানে নিশ্চিত হবে সকল বিশ্বাসের স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। আগামীর বাংলাদেশ হবে জনতার বাংলাদেশ।

banner close
banner close