
প্রতিবছর বিজয় দিবসে গণমান্য ব্যক্তিরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় এবারের অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় অনেককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং তারা তা প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একাধিক সমন্বয়কের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা জানান, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগ চেয়েছি আমরা। এ অবস্থায় তার অনুষ্ঠানে বিজয় উদযাপন করা গণঅভ্যুত্থানের অভিপ্রায়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে আমরা মনে করছি।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনের এ অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা, বিদেশি কূটনীতিকেরা এবং সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য এবং সমন্বয়ক ইব্রাহিম নিরব আজ সোমবার বেলা আড়াইটায় ফেসবুক পোস্টে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ কার্ডের একটি ছবি দিয়ে লিখেছেন, ফ্যাসিস্টের দালাল রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর পদত্যাগ চাই। তার হাতেও আমার ভাইদের তাজা রক্ত লেগে আছে। তার দাওয়াতে বঙ্গভবন যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। বিজয় দিবসে চুপ্পুর দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করলাম।
এদিকে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির অনুষ্ঠান নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটির সেল দপ্তরের দায়িত্বে থাকা জাহিদ আহসানের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মহান বিজয় দিবসে ফ্যাসিবাদী শাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পু কর্তৃক বঙ্গভবনে বিজয় দিবস উদযাপনের আমন্ত্রণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রত্যাখ্যান করছে। নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সাংগঠনিকভাবে যুক্ত কোনো নেতা-কর্মী আজ বঙ্গভবনে মহান বিজয় দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানে যাবে না।
আরও পড়ুন: