
শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারা যেভাবে ছাত্র-জনতার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, একইভাবে ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দিতে একসঙ্গে কাজ করবেন বলে জানান সেনাবাহিনীর সাবেক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মানিশ দেওয়ান।
রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি পরিষদের আয়োজনে, ‘ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ’ সমাবেশে সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে এই সকল মন্তব্য করেন তিনি।
লেফট্যানেন্ট কর্নেল মানিশ দেওয়ান বলেন, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী সব সময় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। দেশকে রক্ষায় সশস্ত্র-বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারাও হাতে অস্ত্র তুলে নিতে প্রস্তুত বলে জানান তিনি।
বিক্ষোভ মিছিলের শুরুতে সমাবেশের আহ্বায়ক সাবেক কর্নেল আহসানউল্লাহ ভারতীয় গেরুয়া পতাকা ও কট্টর হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। বাংলাদেশে তাঁদের প্রশ্রয় দেয়া হবে না বলে জানান তিনি। এসময় দেশের সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ভারতীয় আগ্রাসন মোকাবিলা করার ঘোষণা দেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা।
এরপর বিক্ষোভ মিছিল শুরু হলে ভারতের আগ্রাসী মনোভাব বিরোধী বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে সাবেক সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
মিছিলে ভারতের মিথ্যাচার ও উস্কানিমূলক কর্মকান্ডের বিরোধীতা করেন অনেকেই। ভারত সংযত না থাকলে এর ফলাফল ভালো হবে না বলেও হুশিয়ারি দেন কেউ কেউ।
এ সময় ভারতীয় গণমাধ্যম মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাবেক সেনা কর্মকর্তারা। এছাড়া আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে সহিংস হামলা চালিয়ে ভারতীয়রা আন্তর্জাতিক জেনেভা চুক্তি লঙ্ঘণ করায় তাঁদের বিচারেরও দাবি জানান তারা।
ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী প্রতিবাদ মিছিলটি বিজয় স্মরনী ঘুরে, জাহাঙ্গীর গেট হয়ে রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে গিয়ে শেষ হয়। প্রয়োজনে দেশের মানুষকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ভারতের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর অঙ্গীকার করে সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: