
প্রশাসনে পরিবর্তনের সুপারিশ করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। কমিশনটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ হলো, সরকারি চাকরিজীবীদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকার নির্দেশনা প্রদান, যাতে তারা নিরপেক্ষভাবে নিজেদের কাজ সম্পন্ন করতে পারেন এবং বাংলাদেশের জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রশাসনে কাঠামোগত পরিবর্তনের জন্য সুপারিশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কমিশনটি সরকারের প্রতি আস্থার পরিবেশ বজায় থাকে।
এই সুপারিশগুলো সরকারি প্রশাসনকে আরো কার্যকর এবং আধুনিক করে তোলার লক্ষ্যে নেওয়া হচ্ছে, যাতে সরকারি সেবা প্রদান প্রক্রিয়া উন্নত হয় এবং সুশাসন নিশ্চিত করা যায়।
রোববার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী এসব কথা জানান।
আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, সরকারি চাকরিজীবীরা যেন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত বা রাজনৈতিক কথা না বলতে পারেন সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবে সংস্কার কমিশন। আমলারা আমলাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে। কাক কাকের মাংস খায় না।
এসি ল্যান্ড ও রেজিস্ট্রি অফিসে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয় জানিয়ে জনপ্রশাসন সচিব ড. মোখলেস উর রহমান বলেন, এখনও সেখানে ঘুষ দিচ্ছে-নিচ্ছে পরিস্থিতি চলছে। রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন জেলায় সরকারি অফিসে সেবা কেমন হওয়া উচিত এবং তাদের অভিজ্ঞতা জানতে গণশুনানি করে কমিশন। সাধারণ মানুষের মতামত ও চাওয়ার ভিত্তিতে প্রশাসনের পরিবর্তনের সুপারিশ করা হবে। নির্ধারিত সময় ডিসেম্বরের মধ্যে সুপারিশ করবে কমিশন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ও সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. মোখলেস উর রহমান আরও বলেন, প্রশাসনে ক্যাডার শব্দটি একেবারে বাদ দিয়ে সিভিল সার্ভিস করার প্রস্তাব দেওয়া হবে। এসিল্যান্ড, রেজিস্ট্রি অফিস সম্পর্কে বাজে ধারণা আছে অনেকের। সেখান থেকে দুর্নীতি দূর করতে কিছু প্রস্তাবনা দেওয়া হবে। সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে বসা হবে। মানুষ যে পরিবর্তন চায় তা করতেই এই সরকার এসেছে। এতদিনের অনিয়মের পেছনে দোষ সরকারি কর্মকর্তাদেরও আছে। সামনের দিনে আরও পরিবর্তন দেখা যাবে।
আরও পড়ুন: