মেক্সিকো সিটির ঐতিহাসিক মিউজিয়াম অব মিউরালিজমে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হলো এক বিশেষ কূটনৈতিক সংবর্ধনা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘নীরবতা ভাঙার ছবি’, যা বাংলাদেশ এবং মেক্সিকোর কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেক্সিকো সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা, আন্তর্জাতিক কূটনীতিকরা, এবং বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের প্রতিনিধিরা। উল্লেখযোগ্যভাবে, মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, পাকিস্তান, সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তানসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং কূটনীতিকরা এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, ’৫০ বছর আগে বাংলাদেশ ও মেক্সিকো প্রথম কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে, যা শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং একটি দৃঢ় বন্ধুত্বের প্রতীক।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘বাংলাদেশ এবং মেক্সিকো দু’টি দেশ, যাদের সংস্কৃতি, রঙ, সুর, এবং খাদ্য ঐতিহ্য রয়েছে, যা আমাদের সম্পর্ককে আরও গভীর করেছে।’
মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ফার্নান্দো গনসালেস সাইফে বলেন, ‘জনগণের মধ্যে সংযোগ সবচেয়ে শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নির্মাণে সহায়তা করে।’ তিনি এই আলোকচিত্র প্রদর্শনিকে সাংস্কৃতিক বোঝাপড়ার একটি বড় মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেন এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশে মেক্সিকান শিল্প প্রদর্শনীর আশা প্রকাশ করেন।
এই প্রদর্শনীটি বাংলাদেশের সুপরিচিত আলোকচিত্রী ড. শহীদুল আলমের শক্তিশালী কাজের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন হিসেবে আয়োজন করা হয়। ড. আলম তার বক্তব্যে বলেন, ‘মেক্সিকোতে আমার কাজের প্রতিক্রিয়া আমাকে অভিভূত করেছে, যা এই দেশের শিল্পী ও দর্শকদের আন্তরিকতা ও উন্মুক্ততার প্রতিফলন।’
এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে মেক্সিকোতে তুলে ধরার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হয়। প্রদর্শনীটি ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এবং এটি বাংলাদেশের মেক্সিকোতে সাংস্কৃতিক শক্তি ও সম্পর্কের এক অনন্য উদাহরণ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন:








