পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত রুয়া দো বেনফরমুসু এলাকায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজনে জুলাই ৩৬-এর ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের স্মরণে এক দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে এ সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
সভার সূচনা বক্তব্য দেন আবু সাঈদ। তিনি জুলাই ৩৬-এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের বীরত্ব গাথা এবং স্বাধীনতার চেতনা রক্ষায় ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এনসিপি পর্তুগালের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শাহজাহান বিপ্লব পরবর্তী স্পিরিট নিয়ে এনসিপি প্রতিষ্ঠা, গঠনতন্ত্র, মূলনীতি, লক্ষ উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে বক্তব্য দেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ ও জুলাই চেতনার বর্ণনা করেন, তিনি তার বক্তব্যের শেষাংশে এনসিপির নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন।
সিআরসিআইপিটির সভাপতি আবু নাঈম মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ তার বক্তব্যে বিভিন্ন উপমা ও উদাহরণ দিয়ে ফ্যাসিবাদ ও ফ্যাসিবাদের পতনের গল্প তুলে ধরেন। পর্তুগাল বিএনপির পক্ষে যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হাকিম মিনহাজ বাংলাদেশে পর্তুগালের ভিসা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য পর্তুগিজ কনসুলেট চালু করার বিষয়ে আলোকপাত করেন ও দূতাবাসের সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন।
সমাজকর্মী এবং অভিবাসী সংগঠন সলিডারিটি ইমিগ্রেন্ট এর পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী তার বক্তব্যে স্বাধীনতা পরবর্তী শাসকগোষ্ঠীর সুশৃঙ্খল রাষ্ট্র পরিচালনার ব্যর্থতা এবং জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে না পারার ফলাফল হাজার হাজার ছাত্র জনতার প্রাণহানি। জুলাই আগস্টের এই অভ্যুত্থানে শহীদ ছাত্র-জনতা এবং আহত ব্যক্তিদের পরিবারের শোক বেদনার চিত্র সকলের উদ্দেশ্যে তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন:








