বৃহস্পতিবার

১৫ মে, ২০২৫
৩১ চৈত্র, ১৪৩২
১৭ জিলক্বদ, ১৪৪৬

বাংলাদেশির মরদেহের সঙ্গে সৌদির মালিকের নিষ্ঠুর আচরণ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪ মে, ২০২৫ ২১:১১

শেয়ার

বাংলাদেশির মরদেহের সঙ্গে সৌদির মালিকের নিষ্ঠুর আচরণ
ছবি : সংগৃহীত

সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালিরা। তবে চাইলে এসব মৃত্যু হয়ত এড়ানো যেত। কিন্তু সৌদির মালিক ও চাকরিদাতাদের খামখেয়ালিতে ঝরে যাচ্ছে এসব প্রাণ। বিশেষ করে বিদ্যুতায়িত হয়ে, সড়ক দুর্ঘটনায় এবং উঁচু স্থান থেকে পড়ে এসব মৃত্যু হচ্ছে। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং ফেয়ার স্কয়ার।

তারা এসব মানুষের মৃত্যুর বিস্তারিত তদন্ত করেছে। যেখানে এসব মৃত্যুর পেছনে অবহেলা পাওয়া গেছে।

এরমধ্যে এক বাংলাদেশির মৃত্যু সম্পর্কে আলাদাভাবে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। সংস্থাটি বলেছে, কর্মক্ষেত্রে এক বাংলাদেশি বিদ্যুতায়িত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু তার সৌদি মালিক, যার প্রতিষ্ঠানে তিনি কাজ করতেন, সেই মালিক তার মরদেহ আটকে রেখেছিলেন। তিনি ওই বাংলাদেশির পরিবারকে বলেছিলেন, যদি তার মরদেহ নিজ বাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়। শুধুমাত্র তখনই তাদের ক্ষতিপূরণ দেবেন তিনি।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, যেসব প্রবাসী মারা গেছেন তাদের মৃত্যুর কারণ নিয়েও ভুল তথ্য দিয়েছে সৌদির মালিকরা। তারা মৃত্যুর কারণ তদন্ত করতে দেননি, এতে করে পরিবারগুলো সৌদির আইন অনুযায়ী যে ক্ষতিপূরণ পেত সেটি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এছাড়া প্রিয়জন সৌদিতে কাজ করতে গিয়ে কীভাবে মারা গেল সেটিও এসব পরিবার জানতে পারেননি।

অপর একটি পরিবার জানিয়েছে, সৌদির সরকার থেকে আত্মীয়ের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ পেতে তাদের ১৫ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে।

সৌদি আরব ২০৩৪ সালে ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করবে। আর বিশ্বকাপের জন্য নতুন নতুন স্টেডিয়ামসহ অনেক বড় বড় অবকাঠামো তৈরি করবে তারা। এগুলোতে কাজ করতে গিয়ে আরও অনেক বাংলাদেশি, ভারতীয় আর নেপালি মারা যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন সময় এ প্রতিবেদন প্রকাশ করল সংস্থা দুটি।

সৌদি ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের পরিচালক মিনকি ওর্ডেন বার্তাসংস্থা এপিকে বলেছেন, শ্রমিকদের সাধারণ নিরাপত্তার বিষয়টি সৌদি এবং ফিফাকে নিশ্চিত করতে হবে এবং এ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি জানিয়েছেন, কাতার যখন বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তুতি নেয় তখনও এমন অনেক মৃত্যু ঘটেছিল। তবে কাতার ফিফার অবকাঠামো নির্মাণস্থল এবং অনিরাপদ কর্ম পরিবেশের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করতে একটি সুপ্রিম কমিটি তৈরি করেছিল। এছাড়া কাতার জীবন বীমা এবং গরম থেকে শ্রমিকদের রক্ষার পদক্ষেপ নিয়েছিল। কিন্তু সৌদিতে এমন কোনো পদক্ষেপই নেয়নি।

banner close
banner close