
জুলাই বিপ্লবে বাংলাদেশের ছাত্র জনতার আন্দোলনের প্রতি প্রবাসীদের যে সমর্থন এবং আত্মত্যাগ ছিল তা অবিস্মরণীয় বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। অন্তর্বর্তী সরকার প্রবাসীদের এই অবদানের জন্য প্রতিদান দিতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে আমিরাতের আজমানে অনুষ্ঠিত সিআইপি সংবর্ধনাতে বাংলাদেশ সরকারের যুব ক্রিড়া ও স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া এসব কথা বলেন। এ অনুষ্ঠানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৫২ জন সিআইপিকে বাংলাদেশ কমিউনিটি সম্মাননা প্রদান করেছেন।
আফিস মাহমুদ বলেন, ৫ আগষ্টের পূর্বে বাংলাদেশের ছাত্র জনতার আন্দোলনকে যারা বিভিন্নভাবে বেগবান করেছে তাদের প্রতি আজ আমরা কৃতজ্ঞ।এই কৃতজ্ঞতার প্রতিদান দিতে চায় অন্তবর্তী সরকার।ইতিমধ্যে প্রবাসীদের কথা চিন্তা করে প্রবাসীদের জন্য নতুন নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন দুবাইস্থ বাংলাদেশ সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব ইয়াকুব সৈনিক, প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন কমিউনিটি নেতা প্রকৌশলী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, কমিউনিটি নেতা মীর কামাল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএই আজমান প্রদেশের রাজ পরিবারের সদস্য শেখ মোহাম্মদ সাইদ রাশেদ হুমাইদ আলনুঈমি। বিশেষ মেহমান হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ, দুবাই কনসাল জেনারেল মো. রাশেদুজ্জামান।
কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব সাংবাদিক শিবলী আল সাদিক। রেমিট্যান্স বিষয়ে বক্তব্য দেন টেপ টেপ সেন্ট এর হেড অব গ্রোথ (বাংলাদেশ) সুদর্শন সুভাশিষ দাস।
এ ছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা আমানুল কিবরীয়া, বাংলাদেশ সমিতি শারজাহ সাবেক সভাপতি শরাফত আলী। বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেন সমিতি শারজাহ'র ভাইস প্রেসিডেন্ট রেমিট্যান্স যোদ্ধা ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেনকে।
কামরুল হাসান জনি ও রোমানা বর্ণী সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ও আয়োজক কমিটির মাধ্যমে আগত সিআইপিদের বিভিন্ন পর্যায়ে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। পরে সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম তালুকদার ও রফিকুল ইসলাম এর যৌথ পরিচালনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: