বাবার নামে থাকা বিদ্যুৎ মিটার ওয়ারিশ সূত্রে সন্তানের নামে করার কিছু সহজ ধাপ রয়েছে। এজন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক রাখতে পারলেই কাজটি খুব একটা জটিল নয়।
বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে থাকা তথ্যানুসারে জানানো হল বিস্তারিত।
যেসব কাগজপত্র লাগবে
বিদ্যুৎ মিটারের নাম পরিবর্তন করতে নিচের কাগজপত্রগুলো প্রয়োজন হবে-
বাবার মৃত্যু সার্টিফিকেট: এটি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
ওয়ারিশ সার্টিফিকেট: পরিবারের সব ওয়ারিশের তালিকা সম্বলিত এই সার্টিফিকেট ইউনিয়ন পরিষদ বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে নিতে হবে।
‘না-দাবি’চিঠি: পরিবারের অন্য সব ওয়ারিশ (যেমন- ভাই-বোন, মা) থেকে লিখিতভাবে এই মিটারের ওপর তাদের কোনো দাবি নেই, সে বিষয়ে চিঠি নিতে হবে। এই চিঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সত্যায়িত করাতে হবে।
আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি: নিজের পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
মিটারের শেষ বিলের কপি: সর্বশেষ বিদ্যুৎ বিলের একটি ফটোকপি প্রয়োজন হবে।
অন্যান্য কাগজপত্র: বিদ্যুৎ অফিসের প্রয়োজন অনুযায়ী অতিরিক্ত কিছু কাগজ লাগতে পারে। তাই আগে থেকে খোঁজ নিয়ে নেয়া ভালো।
মিটারের নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়াটি সহজে করার ধাপগুলো হল-
‘না-দাবি’চিঠি সংগ্রহ করা: পরিবারের সব ওয়ারিশের কাছ থেকে লিখিতভাবে এই মিটারের ওপর তাদের কোনো দাবি নেই, সে বিষয়ে চিঠি নিন। এই চিঠিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে যে তারা আপনার নামে মিটারটি হস্তান্তরে সম্মত।
চিঠি সত্যায়িত করান: ‘না-দাবি’চিঠিগুলো নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভার চেয়ারম্যানের কাছে যান। তারা চিঠিগুলোতে সিল ও স্বাক্ষর করে সত্যায়িত করবেন।
বিদ্যুৎ অফিসে আবেদন জমা দিন: সব কাগজপত্র প্রস্তুত করার পর নিকটস্থ বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে আবেদন ফর্ম পূরণ করুন। ফর্মের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব কাগজ জমা দিন।
নির্ধারিত ফি জমা দিন: আবেদনের সঙ্গে বিদ্যুৎ অফিসে নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে। ফি জমা দেওয়ার রসিদ সংরক্ষণ করুন।
যাচাই প্রক্রিয়া: বিদ্যুৎ অফিস আপনার কাগজপত্র পরীক্ষা করবে। কিছু ক্ষেত্রে তারা মিটারের স্থানে গিয়ে যাচাই করতে পারে।
অনুমোদন ও নাম পরিবর্তন: সবকিছু ঠিক থাকলে বিদ্যুৎ অফিস মিটারের নাম আপনার নামে পরিবর্তন করে দেবে।
অনলাইনে আবেদনের সুবিধা
আধুনিক সুবিধার জন্য কিছু বিদ্যুৎ সংস্থা অনলাইনে আবেদনের সুযোগ দিচ্ছে।
যদি ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) আওতায় থাকেন, তাহলে নিচের লিঙ্কে গিয়ে আবেদন করা যাবে:
আগে খোঁজ নিন: বিদ্যুৎ অফিসের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি সম্পর্কে আগেই বিস্তারিত জেনে নিন। বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুৎ অফিসের নিয়ম সামান্য ভিন্ন হতে পারে।
সমস্যা হলে সাহায্য নিন: কোনো ধাপে সমস্যা হলে বিদ্যুৎ অফিসে সরাসরি গিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলুন। তারা আপনাকে সঠিক দিকনির্দেশনা দেবেন।
কাগজপত্র ঠিক রাখুন: সব কাগজপত্রের ফটোকপি ও মূল কপি সঙ্গে রাখুন। এতে সময় বাঁচবে।
এই সহজ ধাপগুলো অনুসরণ করলে বাবার নামের বিদ্যুৎ মিটার নিজের বা সন্তানের নামে করা হবে ঝামেলামুক্ত। তবে কোনো জটিলতা এড়াতে স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন।
আরও পড়ুন:








