বিশ্বজুড়ে কোলন ক্যান্সার পুরুষ ও নারী উভয়ের মধ্যেই অন্যতম সাধারণ মরণব্যাধি হিসেবে দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি মূলত বৃহৎ অন্ত্র বা কোলনে পলিপ নামক ক্ষুদ্র কোষগুচ্ছ থেকে ধীরে ধীরে বিকশিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রে ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ এই রোগ। আরও উদ্বেগের বিষয় হলো, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে। তবে আশার কথা হলো, নিয়মিত কিছু সবজি খেলে এ রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।
ব্রোকলি
সবুজ ফুলকপির মতো দেখতে এই সবজি শুধু স্বাদেই নয়, গুণেও ভরপুর। ব্রোকলিতে রয়েছে সালফোরাফেন নামক শক্তিশালী আইসোথিওসায়ানেট, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন মাত্র ২০ থেকে ৪০ গ্রাম ব্রোকলি খাওয়া শরীরে প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তোলে।
ফুলকপি
ক্রুসিফেরাস সবজি পরিবারের আরেক সদস্য ফুলকপি। এতে রয়েছে গ্লুকোসিনোলেট ও ভিটামিন সি। নিয়মিত ফুলকপি খেলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
বাঁধাকপি
লাল বা সাদা—যে কোনো বাঁধাকপিতেই প্রচুর ফাইবার, ফ্ল্যাভোনয়েড, অ্যান্থোসায়ানিন ও ভিটামিন কে থাকে। একইসঙ্গে এতে ক্যান্সার-প্রতিরোধী ফাইটোকেমিক্যালও বিদ্যমান। নিয়মিত খাবারে বাঁধাকপি যোগ করলে অন্ত্রের সুরক্ষা বাড়ে।
ব্রাসেলস স্প্রাউট
আকারে ছোট হলেও গুণে বড় এই সবজি। ফাইবার, ভিটামিন সি ও কে এবং গ্লুকোসিনোলেটে সমৃদ্ধ ব্রাসেলস স্প্রাউট অন্ত্রের প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং কোলনকে সুরক্ষিত রাখে। বাজারে সবুজের পাশাপাশি বেগুনি রঙের জাতও পাওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব সবজি নিয়মিত খাবারে অন্তর্ভুক্ত করলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। পাশাপাশি সুষম খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই হতে পারে এই মরণব্যাধি থেকে সুরক্ষার প্রধান উপায়।
আরও পড়ুন:








