
অ্যাসিডিটি বা অম্লতা আমাদের অনেকেরই পরিচিত একটি সমস্যা, বিশেষ করে উৎসবের সময় যখন প্রচুর পরিমাণে তেল-মসলা, মাংস ও দুধ-ঘি দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়া হয়। গরু বা খাসির মাংস, পায়েস, সেমাই ইত্যাদি বেশি খাওয়ার ফলে অনেকেই অ্যাসিডিটির সমস্যায় ।
কিছু ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক উপায়ে এই সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। অ্যাসিডিটি দূর করার ঘরোয়া কিছু কার্যকর উপায় জেনে নেওয়া যাক-
শসা ও তরমুজ
শসা এবং তরমুজ শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এবং পাকস্থলীর অতিরিক্ত গ্যাস কমায়। অ্যাসিডিটি হলে শসা কেটে লবণ ছাড়া খেতে পারেন অথবা তরমুজের জুস তৈরি করেও পান করা যায়।
তুলসি পাতা
তুলসি পাতা হজমে সহায়ক এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্স কমাতে খুবই কার্যকর। অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দিলে ২-৩টি তুলসি পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা তুলসির চা বানিয়ে দিনে ১-২ বার পান করুন।
লেবু পানি
লেবুর রস অ্যাসিডিটি কমাতে সহায়তা করে, যদিও এটি দেখতে অ্যাসিডিক তবে পাকস্থলীতে এটি আলকালী তৈরি করে। গরম পানিতে ১ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খালি পেটে সকালে পান করুন।
কলা
পাকা কথা খেতে পারেন। কলা একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড। এটি পাকস্থলীর গ্যাস কমাতে এবং হজমে সাহায্য করে। অ্যাসিডিটির সমস্যা হলে একটি পাকা কলা খেয়ে নিন।
জিরা পানি
জিরা হজমশক্তি বাড়ায় এবং পাকস্থলীর অ্যাসিড কমাতে সহায়তা করে। ১ চা চামচ জিরা পানিতে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে সকালে খালি পেটে পান করুন।
আদা
আদা পেটের গ্যাস কমাতে এবং হজমে সাহায্য করে। এটি বমিভাব কমায় এবং পাকস্থলীকে আরাম দেয়। আদা কুচি গরম পানিতে দিয়ে চা বানিয়ে পান করুন অথবা সামান্য আদার রস খেতে পারেন।
ঠান্ডা দুধ
ঠান্ডা দুধ অ্যাসিডিটি প্রশমনে খুবই কার্যকর। এতে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে যা পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে। এক গ্লাস ঠান্ডা (কিন্তু বরফ ছাড়া) দুধ ধীরে ধীরে পান করুন। চাইলে সামান্য চিনি মিশিয়ে নিতে পারেন।
যেসব এড়িয়ে চলবেন
- অতিরিক্ত ঝাল ও মশলাদার খাবার
- চা, কফি ও কোল্ড ড্রিংক
- খাবার খেয়েই শুয়ে যাওয়া
- অতিরিক্ত পরিমাণে একবারে খাবার খাওয়া
আরও পড়ুন: