শুক্রবার

২৩ মে, ২০২৫
৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
২৬ জিলক্বদ, ১৪৪৬

চুল বৃদ্ধির জন্য যেসব খাবার তালিকায় রাখুন

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩ মে, ২০২৫ ১২:০৩

শেয়ার

চুল বৃদ্ধির জন্য যেসব খাবার তালিকায় রাখুন
ছবি : সংগৃহীত

আপনার সুস্থ, ঘন ও উজ্জ্বল চুল কেবল ভালো জেনেটিক্স থাকলেই হবে কিংবা যত্ন করলেই হবে, সেটি কিন্তু নয়। এ ক্ষেত্রে প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। খাবার আমাদের চুলের শক্তি, উজ্জ্বলতা ও বৃদ্ধির ওপর প্রভাব ফেলে। কিছু খাবার এমন সব পুষ্টিতে ভরপুর, যা চুলের ফলিকল শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধি বাড়ায় এবং চুল পড়া কমিয়ে দেয়।

চলুন জেনে নেওয়া যাক— কোন কোন খাবার চুলের জন্য উপকারী।

১. ডিম

ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, যা চুলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ চুলের ফলিকলগুলো বেশিরভাগ প্রোটিন দিয়ে তৈরি হয়। প্রোটিনের অভাবে চুল পাতলা হয়— এমনকি চুল পড়ে যেতেও পারে। ডিমে বায়োটিনও থাকে। ডিমে রয়েছে ভিটামিন 'বি', যা কেরাটিন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া ডিম জিঙ্ক, সেলেনিয়ামসহ অন্যান্য পুষ্টিতেও ভরপুর।

২. পালংশাক

পালংশাকে রয়েছে আয়রন, ফোলেট, ভিটামিন 'এ' এবং ভিটামিন 'সি'। এসব পুষ্টি উপাদান মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। আয়রনের ঘাটতি চুল পড়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে একটি। পালংশাক পর্যাপ্ত আয়রন সরবরাহ করে তাকে। এ ছাড়া পালংশাকে রয়েছে ভিটামিন 'সি', যা শরীরকে আরও দক্ষতার সঙ্গে আয়রন শোষণ করতে সাহায্য করে এবং কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে।

৩. স্যামন মাছ

স্যামন ও সার্ডিনের মতো ফ্যাটি মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা চুলকে পুষ্টি জোগায়। এসব স্বাস্থ্যকর চর্বি মাথার ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ওমেগা-৩ ছাড়াও ফ্যাটি মাছ ভিটামিন 'ডি', প্রোটিন, ভিটামিন 'বি' এবং সেলেনিয়ামের একটি ভালো উৎস। এসব উপাদান শক্তিশালী করে চুল।

৪. নারিকেল

চুল ভালো রাখার জন্য খেতে পারেন নারিকেল। কারণ স্বাস্থ্যকর চর্বি, বিশেষ করে মাঝারি-চেইন ট্রাইগ্লিসারাইড (MCT) সমৃদ্ধ নারিকেল রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং চুলের ফলিকলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। এটি লরিক অ্যাসিডেও ভরপুর। এটি একটি অনন্য ফ্যাটি অ্যাসিড, যা চুলকে ভেতর থেকে শক্তিশালী করে, প্রোটিন ক্ষয় এবং ভাঙন কমায়। এ ছাড়া নারিকেলে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন 'ই' এবং খনিজ পদার্থ (আয়রন ও জিঙ্ক) চুল পাতলা হওয়া রোধ করতে সাহায্য করে।

৫. মসুর ডাল

মসুর ডাল আয়রন, প্রোটিন ও ফাইবারের চমৎকার উৎস। এক কাপ রান্না করা মসুর ডালে প্রায় ৬.৬ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে, যা প্রতিদিনের আয়রনের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে। মসুর ডাল বায়োটিন এবং জিঙ্কও সরবরাহ করে, এই দুই উপাদান চুলের গোড়াকে শক্তিশালী করে এবং চুল পাতলা হওয়া রোধ করে।

এ ছাড়া চুল সুস্থ, উজ্জ্বল ও বৃদ্ধির জন্য খেতে পারেন বাদাম, আখরোট, চিয়া বীজ। এসব ভিটামিন ই, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন 'ই' একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা চুলের ফলিকলকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে, যা চুলের বার্ধক্য ও ক্ষতির কারণ হতে পারে। কুমড়ার বীজ এবং সূর্যমুখী বীজেও পাওয়া জিঙ্ক চুলের টিস্যু বৃদ্ধি এবং মেরামতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

banner close
banner close