বৃহস্পতিবার

১৫ মে, ২০২৫
১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
১৮ জিলক্বদ, ১৪৪৬

ডায়াবেটিস থাকলে কি পাকা আম খাওয়া ঠিক হবে, যা বলছেন পুষ্টিবিদ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫ মে, ২০২৫ ১৬:৫৮

শেয়ার

ডায়াবেটিস থাকলে কি পাকা আম খাওয়া ঠিক হবে, যা বলছেন পুষ্টিবিদ
ছবি: সংগৃহীত

গ্রীষ্মকালে বাজারে ফলের রকমারি সমাহার। তরমুজ, আম, কাঁঠাল, লিচু— সবই বাজারে পাওয়া যায়। তবে গরমের শুরুতে তরমুজ এলোও অন্যান্য ফল এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণে বাজারে আসেনি। 

সবেমাত্র আম পাকতে শুরু করেছে। যদিও বাজারে কিছু আমের দেখা পাওয়া যাচ্ছে। তবে ভরপুর বাজারে আম আসতে আরও সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। তবে এর মধ্যে অনেকেই ভাবতে শুরু করেছেন—ডায়াবেটিসে কি পাকা আম খাওয়া যাবে। ডায়াবেটিস থাকলে কি পাকা আম খাওয়া ঠিক হবে? 

আম অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল। এই ফলের মধ্যে ভিটামিন সি, এ, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক ও পটাশিয়াম প্রায় সব ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। তবে এতে শর্করা ও ক্যালোরির পরিমাণও একটু বেশি। সে কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে পাকা আম খাওয়া নিয়ে এক ধরনের দ্বিধা দেখা যায়।

তবে এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ অনুশ্রী মিত্র বলেন, ডায়াবেটিস রোগীরাও পাকা আম খেতে পারেন। কিন্তু কয়েকটি নিয়ম মেনে খেতে হবে। উচ্চ পরিমাণে ফ্রুটোজ থাকলেও আমে অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, ডায়াবেটিস রোগীরা কীভাবে আম খাবেন—

আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগী নাও হোন, তবু ইচ্ছামতো পাকা আম খাওয়া ঠিক নয়। কারণ এতে রক্তে শর্করার মাত্রা এবং ওজন বৃদ্ধির ভয় থাকে। তাই একটা বড় সাইজের আম গোটা না খেয়ে, বরং তা সকাল-বিকাল ভাগ করে খান। একটা আম সারাদিন ধরে খেলে সুগার লেভেল বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে না। আর গোটা আম খাবেন না। কারণ গোটা আম ছোট ছোট টুকরো করে খাবেন। এতে মনে হবে, আপনি অনেকটা পাকা আম খেয়ে ফেলেছেন।

তা ছাড়া পাকা আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি থাকে। তাই ভারি খাবারের সঙ্গে পাকা আম খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভালো। বিশেষ করে রাতে খাবার খাওয়ার পর আম খাবেন না। আপনি সকালের নাশতা ও লাঞ্চের মধ্যবর্তী সময়ে পাকা আম খাবেন। আবার নাশতায় দুটি রুটির সঙ্গে এক টুকরো আম খেতে পারেন। তবে ভরপেট খাবার খাওয়ার সঙ্গে পাকা আম কোনো অবস্থাতেই খাওয়া ঠিক নয়।

banner close
banner close