
তীব্র গরমে হাঁসফাঁস জনজীবন। কোথাও যেন স্বস্তি নেই। এই চরম আবহাওয়ার কারণে তাপজনিত অস্বস্তি, মাথা ঘোরা এবং বমি বমি ভাবের পাশাপাশি হিটস্ট্রোকের মতো গুরতর সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
গরম আবহাওয়ায় কাঁচা খাবার কেন আদর্শ?
রান্নার ঝামেলা নেই: গ্রীষ্মকালে রান্নাঘরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটানো সুখকর নয়। কাঁচা খাবার সময় এবং শক্তি সাশ্রয় করে এবং শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপ কমায়।
সমৃদ্ধ পুষ্টি: কাঁচা শাকসবজি এবং ফল রান্না করা খাবারের তুলনায় বেশি ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ধরে রাখে।
উন্নত হাইড্রেশন: উচ্চ জলীয় উপাদানযুক্ত খাবার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে, যা গরমের সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রক্তে স্থিতিশীল শর্করা: ফাইবার সমৃদ্ধ কাঁচা খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
গ্রীষ্মের জন্য ৬টি আদর্শ কাঁচা খাবার
শসা
প্রায় ৯৫ শতাংশ পানি দিয়ে তৈরি। শসা আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এতে পটাশিয়াম এবং সিলিকাও থাকে, যা ত্বক এবং চুলের জন্য উপকারী।
তরমুজ
এই গ্রীষ্মের প্রধান খাবার তরমুজে ৯০ শতাংশেরও বেশি পানি। এটি লাইকোপিন সমৃদ্ধ, একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং তৃষ্ণা নিবারণ করে।
আম
ভিটামিন সি, বিটা-ক্যারোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর আম গ্রীষ্মের ক্লান্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং প্রাকৃতিক শক্তি বৃদ্ধি করে।
নারকেল পানি
এটি একটি প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ পানীয়। এতে সোডিয়াম, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে, যা তাপপ্রবাহের সময় আর্দ্রতা এবং ভারসাম্য পুনরুদ্ধারের জন্য এটিকে আদর্শ করে তোলে।
পুদিনা এবং ধনে
এই সুগন্ধি ভেষজগুলো প্রাকৃতিকভাবে শরীরকে ঠান্ডা করে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এসব ভেষজ চাটনি, স্মুদি বা সালাদে ব্যবহার করা যেতে পারে।
টমেটো
পানি, পটাশিয়াম এবং লাইকোপিনসমৃদ্ধ টমেটো শরীরের তাপ কমাতে এবং ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
এই গ্রীষ্মে শরীরকে ঠান্ডা রাখা জটিল কিছু না। প্রতিদিনের রুটিনে এই সহজ, কাঁচা খাবারগুলো যোগ করলে হিটস্ট্রোক এড়ানো এবং পুরো ঋতু জুড়ে সতেজ থাকা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: