শীতের দিনেও রোজ ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা নিয়ে অনেকেই গর্ব করেন।
কিন্তু চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটিকে বাহাদুরি মনে না করে বরং আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে এমন একটি অভ্যাস হিসেবে দেখা উচিত।
শীতকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করার তিনটি প্রধান স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিচে তুলে ধরা হলো।
ঠান্ডা পানি শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা দ্রুত কমিয়ে দেয়। শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ কমলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাময়িকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ এবং শারীরিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিরা খুব সহজে সর্দি, কাশি, জ্বর বা ঠাণ্ডাজনিত সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারেন। তাই শীতকালে গোসল করার সময় উষ্ণ বা হালকা গরম পানি ব্যবহার করা সবচেয়ে নিরাপদ।
শীতকালে শুষ্কতা ত্বকের একটি বড় সমস্যা। ঠান্ডা পানি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল বা সিবাম কমিয়ে দেয়। এর ফলস্বরূপ ত্বক আরও শুষ্ক ও চুলকানির মতো সমস্যার শিকার হয়। যদি গোসলের পর ত্বককে আর্দ্রতা দেয়া না হয়, তাহলে হাত, মুখ ও পায়ের ত্বক কাঁপা বা ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা এই ঝুঁকি কমাতে গোসলের পর মোইশ্চারাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
ঠান্ডা পানি হঠাৎ শরীরে পড়লে রক্তনালী দ্রুত সংকুচিত হয়। এটিকে ‘ভাসোকনস্ট্রিকশন’ বলা হয়। এটি রক্ত সঞ্চালনকে ব্যাহত করতে পারে এবং কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা বা উচ্চ রক্তচাপ থাকা ব্যক্তির জন্য এটি খুবই গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে মাথা ঘোরা, ক্লান্তি বা হৃৎস্পন্দন অস্বাভাবিক হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
এসব কারণে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে, শীতকালে গোসলের জন্য উষ্ণ বা হালকা গরম পানি ব্যবহার করা উচিত। যদি রিফ্রেশ হওয়ার জন্য একান্তই ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে চান, তবে তা খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য করুন। গোসলের পর ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে মোইশ্চারাইজার বা হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করুন। শিশু বা বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে গোসলের সময় পানির তাপমাত্রা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করে করানো উত্তম।
আরও পড়ুন:








