বাংলাদেশ বেতারের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বেতার ভবনের মূল গেট এলাকা থেকে তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো মো. শাহিন ও মো. শহিদুল ইসলাম। শাহিন নিজেকে একটি দৈনিক পত্রিকার চীফ ক্রাইম রিপোর্টার পরিচয় দিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত নয় ডিসেম্বর বিকেলে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বাংলাদেশ বেতারের উপ-বার্তা নিয়ন্ত্রক ও মহাপরিচালকের স্টাফ অফিসার মো. মাহমুদুন নবীর সাথে যোগাযোগ করে মো. শাহিন। তিনি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে জানান, মাহমুদুন নবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে এবং এ বিষয়ে একটি ক্রাইম রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়েছে।
রিপোর্ট প্রকাশের আগে আলোচনার কথা বলে ১১ ডিসেম্বর বিকেলে দু’জন বাংলাদেশ বেতার ভবনে মাহমুদুন নবীর কার্যালয়ে উপস্থিত হন। আলোচনায় উত্থাপিত অভিযোগগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট প্রমাণিত হয়।
পরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে ‘চা-মিষ্টি’ খাওয়ার অজুহাতে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন মো. শাহিন। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় মাহমুদুন নবী কৌশলে কথোপকথন রেকর্ড করেন এবং নিরাপত্তাকর্মীদের বিষয়টি জানান।
এরপর কর্তব্যরত পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মীদের সহায়তায় বেতার ভবনের মূল গেট থেকে দুই আসামিকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে সাংবাদিক পরিচয়পত্র, দুটি মোবাইল ফোন ও একটি ওয়াকিটকি সেট উদ্ধার করা হয়।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামিরা বাংলাদেশ বেতারের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ কেপিআই স্থাপনায় ওয়াকিটকি বহন করে প্রবেশ করেন এবং ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
পরে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ আসামিদের হেফাজতে নেয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:








