অধ্যাপক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান। বর্তমানে স্যার সলিমুল্লা মেডিকেল কলেজে শিশু বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। দীর্ঘদিনের চিকিৎসা পেশায় একদিকে যেমন পেশাদারিত্বের কারণে সুনাম কুড়িয়েছেন, ঠিক তেমনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন দেশী বিদেশী প্রতিষ্ঠানের হয়েও কাজ করেছেন তিনি। এছাড়া দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে মানবতার এক মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ডা. মোস্তাফিজুর।
তবে এত কিছুর পরেও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে তিনি ছিলেন নিপীড়িত। তাই তো স্বাভাবিক নিয়মে যেসব পদোন্নতি পাওয়ার কথা ছিল তার, সেসব থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন তিনি। এমনকি পদোন্নতি পেয়েও হাসিনার রোষানলে পড়ায় স্থগিত করা হয়েছিলো সেটি।
নিজ যোগ্যতাবলে একসময় সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেলেও তাতে কালো থাবা বসায় আওয়ামী সুবিধাভোগীরা। তাকে জোর করে সরিয়ে দেয়া হয় পদ থেকে। এতে করে মানসিক ও সামাজিকভাবে চরম লাঞ্ছিত হতে হয় তাকে।
শুধু ডা. মোস্তাফিজুরই নয়, হাসিনার মতাদর্শের সাথে একমত না হওয়ায় তার পুরো পরিবারকেই কর্মক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত বঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছিল। তার স্ত্রীকেও হাসিনার দীর্ঘ শাসনামলে দেয়া হয়নি কোনো পদোন্নতি।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিলো ডা. মোস্তাফিজুরের। আর এই কারণে তাকে চাকরিতে পদাবনতি দিয়ে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে বদলি করা হয়। সেসময় মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে যোগাযোগ করেও, কোনো সমাধান পাননি। পঞ্জিভূত ক্ষোভ থেকেই অধিকার আদায়ে ছাত্র-জনতার সাথে রাজপথে নেমে আসেন এই চিকিৎসক।
ডা. মোস্তাফিজুর রহমানের স্বপ্ন আগামীতে দেশের স্বাস্থ্যসেবাকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করা। দেশের প্রতিটি কোণে চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে তিনি সবসময় কাজ করে যাবেন বলেও আশা ব্যক্ত করেন।
ডা. মোস্তাফিজুর রহমানের মতো অসংখ্য চিকিৎসক ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে নানা ধরনের ত্যাগ শিকার করেছেন। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আগামীতে একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ দেখতে চান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান।
আরও পড়ুন:








